‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নেতাদের প্রত্যাবর্তন
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে ছাত্র-জনতা
যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি, ফায়সালা রাতেই— হুঁশিয়ারি এনসিপি নেতাদের

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে রাজধানীর গুলশানে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্র-জনতা। এ কর্মসূচির নেতৃত্বে আছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নামে পরিচিত আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী নেতারাও আবার সরব হয়েছেন, সবাইকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানাচ্ছেন।
কর্মসূচিতে এনসিপি ছাড়াও অংশ নিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা, যারা শুরু থেকেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে সক্রিয়।
অবস্থানকারীরা আওয়ামী লীগের বিচার, দলটির রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল ও কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চেয়ে নানা স্লোগানে গর্জে উঠেছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লেখেন— ফ্যাসিস্ট ও খুনি আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। তাদের নিবন্ধন বাতিল হচ্ছে না, বরং আসামিদের জামিন দিয়ে পালানোর সুযোগ দেয়া হচ্ছে। সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জুলাইয়ে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম— খুনিদের বিচার হবে, মুজিববাদীরা আর বাংলার মাটিতে রাজনীতি করতে পারবে না। আজ রাতেই ফয়সালা হবে।
নাহিদ ইসলামের ডাক:
আওয়ামী লীগের বিচার এবং নিষিদ্ধকরণ ছাড়া রাজপথ ছাড়বো না। সব শক্তিকে, শহীদ পরিবার ও আহতদের, সবাইকে রাজপথে নামার আহ্বান জানাই।
অন্যান্য নেতাদের হুঁশিয়ারি
- সারজিস আলম, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, বলেন: ৯ মাসে সোজা আঙুলে কাজ হয়নি, এখন সময় আঙুল বাঁকা করার। যমুনার সামনে হাসনাতের সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিন।
- আব্দুল হান্নান মাসউদ, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, আরও এগিয়ে বলেন: পুরো শহর, পুরো দেশ রাজপথে নামুন। বিপ্লব সংহত করতে, নিজেকে বাঁচাতে আর বাংলাদেশকে বাঁচাতে আমাদের গন্তব্য সে জুলাইয়ের রাজপথ। তিনি আরো জানান, উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন, খুনিদের বিচার, এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিশ্চিত করা— এটাই শহীদ পরিবার ও আহতদের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার।
এর আগে এক ফেসবুক পোস্টে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
যমুনার সামনে কঠোর নিরাপত্তা
‘যমুনা’ বাসভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে, সাধারণ জনসাধারণের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
সবার দেশ/কেএম