কঠোর হুঁশিয়ারি জুলাই ঐক্যের
আনিস আলমগীরকে ছেড়ে দিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও
সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক করে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার না দেখালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম জুলাই ঐক্য।
সংগঠনটির অভিযোগ, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে ‘হত্যাযোগ্য’ করে তোলার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন মাফিয়া হাসিনা ও ভারতের অন্যতম দোসর আনিস আলমগীর।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে দেয়া এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী। তিনি জানান, গণমাধ্যমের খবরে জুলাই ঐক্য জানতে পেরেছে যে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করলেও কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত আনিস আলমগীর সাংবাদিকতার নামে দীর্ঘদিন ধরে ‘তথ্য সন্ত্রাস’ চালিয়ে আসছেন। প্রকাশ্যে জুলাই যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে নিয়ে কটূক্তি এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাযোগ্য করে তোলার মতো বক্তব্যের সঙ্গে তিনি ও তার সহযোগীরা জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়।
জুলাই ঐক্যের বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আনিস আলমগীরকে ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ সরকারের ভেতর থেকেই নয়, ভারতীয় লবিস্টদের পক্ষ থেকেও তাকে মুক্ত করার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে বলে সংগঠনটি জানতে পেরেছে।
ইসরাফিল ফরাজী বলেন, জুলাই ঐক্যের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। শুধু আনিস আলমগীর নয়, যারা ভারতীয় অর্থায়নে বাংলাদেশে তথ্য সন্ত্রাস চালাচ্ছে, আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে, তাদের প্রত্যেককে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, পান্না, আব্দুন নুর তুষার, এম আজিজ ও শাহেদ আলমসহ যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করে টকশো ও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বসে জুলাই যোদ্ধাদের হত্যাযোগ্য করে তুলছে, তারাও অপরাধী। এদের বিচার নিশ্চিত না হলে বাংলাদেশে ভারতীয় প্রক্সিদের প্রভাব ধ্বংস করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করে জুলাই ঐক্য।
জুলাই ঐক্য হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, আনিস আলমগীরকে গ্রেফতার না দেখানো হলে তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবে এবং প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।
সবার দেশ/কেএম




























