পিয়া জান্নাতুলের ‘পশুপ্রেম’ নিয়ে ফুঁসে উঠেছেন নেটিজেনরা
বিড়াল নিয়ে কান্না, মানুষের জন্য নয়!

একটি বিড়াল নির্যাতনের ঘটনায় ফেসবুকে দীর্ঘ আবেগময় স্ট্যাটাস দিয়েছেন মডেল ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল এবং ছোটপর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। বিচার চেয়ে ওই দম্পতির কর্মস্থলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
কিন্তু নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, এ কান্না ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সময় কোথায় ছিলো?
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন- বিচারহীনতার দেশে প্রতিদিন মানুষ গুম হয়, গুলি খায়, ছাত্রদের রক্তে সয়লাব হয় রাজপথ, তখন তাদের বিবেক জাগে না কেনো?
পিয়া জান্নাতুল, যিনি এক সময় ছিলেন ফ্যাসিবাদ-বিরোধী আন্দোলনে অভিযুক্ত ডামি নির্বাচনে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমনের সহযোগী হিসেবে। এখন তিনি বিড়ালের জন্য ‘বিচার’ চাইলেও, সাধারণ মানুষের জন্য কোনোদিন মুখ খোলেননি—এমন অভিযোগ তুলেছেন বহুজন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, বিড়ালের জন্য এত মায়া, কিন্তু যখন পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছিলো, তখন তো তাদের টিকিটিও দেখা যায়নি!
‘ভিআইপি-সন্তান’দের মানবতা দেখানো কি বিলাসিতা?
সমালোচকরা মনে করছেন, পিয়া ও আয়মানের এ আবেগপূর্ণ পোস্ট আসলে ‘সস্তা পাবলিসিটি’র চমক। বিশেষ করে, যাদের নামে আগেও সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে বিত্ত-বৈভব নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে, তাদের কাছ থেকে এখন মানবতা নিয়ে বক্তব্য মানতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, গরিবের সন্তান গুম হলে তারা চোখের পানি ফেলে না, বিড়ালের দুঃখে ফেসবুক ফেটে পড়ে!
ন্যায়বিচার কি শুধু পোষা প্রাণীর জন্য?
নির্যাতন অবশ্যই ন্যক্কারজনক—চাই সেটা মানুষ হোক, প্রাণী হোক। কিন্তু যখন সমাজের প্রতিটি স্তরে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গুম, নির্যাতন চলছে, তখন কেবল বিড়ালকে ঘিরে মানবিকতার চমক দেখানো অনেকের কাছে রীতিমতো পিত্তি জ্বালানো ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানবতা তখনই পূর্ণ হয়, যখন তা নির্বাচিত নয়, সর্বজনীন। বিড়ালের কান্না যদি ওঠে, তাহলে মানুষের রক্তের আর্তনাদেও কাঁদতে হবে।
সবার দেশ/কেএম