Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:২৩, ৩ মে ২০২৫

ইসরায়েলকে দায়ী করলো ত্রাণদাতা জোট

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একটি ত্রাণবাহী জাহাজে সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। মাল্টা উপকূলের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ত্রাণ মিশনের আয়োজক জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (FFC)।

হামলার পর জাহাজটির সম্মুখভাগে আগুন ধরে যায় এবং কাঠামোয় বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। এতে জাহাজটি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।

শুক্রবার ভোরে হামলার ঘটনা ঘটে। জাহাজটি তখন মাল্টা উপকূল থেকে মাত্র ১৪ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ২৫ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছিলো।

জাহাজে থাকা ১৬ আরোহীর সবাই সুস্থ আছেন বলে মাল্টা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এর মধ্যে ছিলেন ১২ জন নাবিক এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিক, যারা মানবিক সহায়তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

জাহাজে ছিলো ২১টি দেশের অধিকারকর্মীরা। তারা সবাই গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলি অবরোধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন।

ইসরায়েল সরকার হামলার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

এফএফসি’র বিবৃতিতে বলা হয়, একটি নিরস্ত্র বেসামরিক জাহাজে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবিক নীতিমালার ভয়াবহ লঙ্ঘন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলার উদ্দেশ্য ছিলো জাহাজটিকে চলাচল-অযোগ্য করে দেয়া।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ‘মাভি মারমারা’ ঘটনার পর এ ধরণের সরাসরি মানবিক বহরে হামলার ঘটনা এটিই সবচেয়ে গুরুতর বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

গাজায় মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৫২ হাজার

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের নতুন দফার হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ৪১৮ জনে পৌঁছেছে। শুধু গত মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া চলমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২,৩২৬ জন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েল এখন আর শুধু ফিলিস্তিন নয়, মানবিক সহায়তার ধারনাকেই চ্যালেঞ্জ করছে।

এ ঘটনায় এখনো কোনো আন্তর্জাতিক তদন্ত বা জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সবার দেশ/কেএম