রেমিট্যান্সে চাঙ্গা অর্থনীতি, রিজার্ভ ছাড়ালো ৩২ বিলিয়ন ডলার
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও উর্ধ্বমুখী ধারায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে এ রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এবং নিলাম পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ডলার ক্রয়ের ফলে রিজার্ভ বেড়েছে।
গত ৯ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের মোট গ্রস রিজার্ভ ছিলো ৩১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম-৬ অনুযায়ী তখনকার রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ২৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নিলাম পদ্ধতিতে এখন পর্যন্ত ২১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ১৩ জুলাই থেকে নিলাম পদ্ধতিতে ডলার কেনার কার্যক্রম শুরু হয়। এর পাশাপাশি প্রবাসী আয়ও দৃশ্যমানভাবে বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৯১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিলো ৮০৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মাসভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ছিলো জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রেমিট্যান্সে এ স্থিতিশীল প্রবাহ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্রিয় হস্তক্ষেপ ডলারের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তবে তারা সতর্ক করে দিচ্ছেন, আমদানি ব্যয়ের চাপ ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ঘনিয়ে আসায় এ রিজার্ভ স্থিতি ধরে রাখতে এখনও সমন্বিত নীতি ও কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা প্রয়োজন।
সবার দেশ/কেএম




























