নগর ভবনের তালা ‘রাজনৈতিক ও সেনসেটিভ’ বিষয়: প্রশাসক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের তালা খুলে দেয়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রশাসক শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেছেন, বিষয়টি রাজনৈতিক, সেনসেটিভ এবং আইনগত জটিলতায় জড়িত।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। এটা রাজনৈতিক, সেনসেটিভ ও আইনগত বিষয়।
নাগরিক ভোগান্তি ও পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা
গত ১৪ মে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে তার সমর্থকরা আন্দোলনে নামেন। পরদিন ১৫ মে নগর ভবনের মূল ফটকসহ বিভিন্ন ভবনে তালা লাগিয়ে দেন তারা। ফলে নাগরিক সেবায় স্থবিরতা নেমে আসে।
প্রশাসক শাহজাহান মিয়া জানান, সেবাদানে কিছুটা সমস্যা হলেও আমরা তা অন্যভাবে ম্যানেজ করছি। আমাদের ওয়ার্ড অফিসগুলো খোলা রয়েছে। মানুষ সেখান থেকে জন্মনিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি সচিবালয়ে অফিস করছি। আমার কর্মকর্তারাও সেখানে এসে দিকনির্দেশনা নিচ্ছেন। ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল রয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুতি
নগর ভবনের তালা থাকায় ঈদুল আজহায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে কোনো সমস্যা হবে কি না—জানতে চাইলে শাহজাহান মিয়া বলেন, কিছু সমস্যা শুরুতে হয়েছিলো। তবে তা আমরা সমন্বয় করে নিয়েছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবহণ এবং ভাণ্ডার বিভাগ কাজ করছে।
তিনি জানান, ডিএসসিসির ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী ঈদের দিন ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুরো নগরী পরিষ্কার রাখার লক্ষ্যে কাজ করবেন।
প্রশাসকের ভাষ্য অনুযায়ী, যতটা সম্ভব নাগরিক ভোগান্তি কমিয়ে আনতে সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। তবে নগর ভবনের তালা খুলে দেয়া বা মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তর প্রসঙ্গে তিনি মুখ খুলতে রাজি হননি।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
- নগর ভবনের তালা এখনও খোলা হয়নি
- প্রশাসক বিষয়টি ‘রাজনৈতিক ও সেনসেটিভ’ বলে মন্তব্য করেছেন
- নাগরিক সেবা সীমিতভাবে চালু আছে
- ঈদ উপলক্ষে বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত ডিএসসিসি
সবার দেশ/কেএম




























