গ্রেফতারেও নিষিদ্ধ আ.লীগ নেত্রী তুশির মুখে ‘জয় বাংলা’
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের পলাতক এক নেত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন। এলাকাবাসীর ঘেরাও ও ছাত্র-জনতার ক্ষোভের মুখে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
শনিবার (২৪ মে) রাতে কাশিপুরের মুসলিম নগর পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন রুবেল মিয়ার বাড়ির নিচতলার একটি ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক নেত্রীর নাম রজনী আক্তার তুশি (৩৮)। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
ঘটনার সময়, এলাকাবাসী ও ছাত্র-জনতা তাকে ঘিরে ফেলে। তুশি তখন ‘জয় বাংলা’, ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এতে উত্তেজিত হয়ে অনেকে তাকে লক্ষ্য করে জুতা ও ঢিল ছুঁড়তে থাকেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মো. শরীফুল ইসলাম জানান, তুশি তিন মাস ধরে ওই বাড়িতে গোপনে বসবাস করছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ছাত্র-জনতা থানায় জানালে, পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী জানান, তুশির বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতা ও রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে। তাকে ফতুল্লা থানায় রাখা হয়েছে এবং ডেমরা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
তুশিকে গ্রেফতারের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র-জনতা বলছে, যারা গণহত্যা ও নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত, তাদের জায়গা কারাগার—এমন নেত্রীকে আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
সবার দেশ/কেএম




























