পূরণ হলো শিক্ষার্থীদের দাবি
জাবিতে ১৫ জুলাই ‘কালোরাত’ ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ১৫ জুলাই দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কালরাত’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০২৩ সালের ওই রাতেই ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথ হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ রক্তাক্ত হয়, আহত হন বহু শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক।
সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৫ জুলাই রাতে ছাত্রলীগ এবং পুলিশের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ বহু মানুষ আহত হন। সে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় ১৫ জুলাই দিনটির রাতকে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কালোরাত’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
কী হয়েছিলো সে রাতে?
২০২৪ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত মশাল মিছিল নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে পৌঁছায় শিক্ষার্থীরা। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়।
আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আশ্রয় নিলে সেখানে ফের হামলা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, ওই হামলায় বহিরাগত অস্ত্রধারীরাও অংশ নেয়। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৫ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হন, অনেকে গুলিবিদ্ধও হন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘটনার এক বছর পর ‘কালোারাত’ ঘোষণাকে আন্দোলনকারীরা ইতিবাচক বলে মনে করছেন। তাদের দাবি ছিলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কলঙ্কিত ওই রাতকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা যেন আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঘোষণার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। অনেকে বলছেন, ‘ঘোষণা যথার্থ হলেও যারা ওই হামলার পেছনে ছিলো, তাদের শাস্তি নিশ্চিত না হলে প্রকৃত বিচার হবে না।
সবার দেশ/কেএম




























