তিনটি ‘বিদেশি’ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখায় ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কবার্তা
বিশেষ করে আমেরিকান নামধারী তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালানোর অভিযোগে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। কমিশন বলছে—এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের অনুমোদন পায়নি; তাই সেখান থেকে ডিগ্রি নেয়া শিক্ষাগত ও আইনগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি জানায়, এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের নাম হলো—১. আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ; ২. ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ; এবং ৩. স্পিরিচুয়াল ইনস্টিটিউট অব নিউ ইয়র্ক (স্টেট ইউনিভার্সিটি অব)।
কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, মন্ত্রণালয় ও কমিশনের কাছে এ নামের কোন প্রস্তাব বা অনুমোদিত প্রকল্প নেই।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষ থেকে আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ও ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থীর সনদ যাচাই করতে অনুরোধ আসে ইউজিসির কাছে। সনদ যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় কমিশন জানতে পারে যে, এসব বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান এখানে শাখা ক্যাম্পাস চালাচ্ছে—যা অনুমোদিত নয়।
ইউজিসি আরও সতর্ক করেছে যে, ঘাতক শুধু শাখা ক্যাম্পাস নয়; দেশে অনেকে টিউটোরিয়াল সেন্টার ও স্টাডি সেন্টার স্থাপন করে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভর্তি নেয়ার অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। এসব অধিকাংশ কেন্দ্র অননুমোদিত। এমন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন স্তরে—ব্যাচেলর, মাস্টার্স, এমপিএইচ, এমবিএ, এমফিল ও পিএইচডি—ডিগ্রি প্রদান করে বলে অভিযোগ থাকায় ইউজিসি বলছে, এসব সনদ আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
কমিশন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে—যে কোনও বিদেশি বা অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি নেয়ার আগে সরকারি অনুমোদন ও ইউজিসির তালিকা যাচাই করে নিন। অনুমোদনবিহীন শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টারের সঙ্গে জড়িত হলে ভবিষ্যতে চাকরি, উচ্চশিক্ষা কিংবা বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে গুরুতর জটিলতা এড়ানো যাবে না।
ইউজিসি বলেছে, সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেলে দ্রুত কমিশনকে জানাতে হবে—তবে একই সঙ্গে সরকারিভাবে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়, তাদের অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রকল্প ও তালিকা সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য গ্রহণ করাই নিরাপদ পথ।
সবার দেশ/কেএম




























