Day-Long English Version School-এর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
কর্মজীবী অভিভাবকদের সন্তানের জন্য আশ্বাসের ঠিকানা কসমো স্কুল
দেশের শহুরে জীবনে আজ কর্মজীবী বাবা–মায়ের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম—সন্তান। দিনভর অফিস, বাড়িতে গৃহকর্মীর তত্ত্বাবধান, ডিভাইসের ঝুঁকি, একাকিত্ব, অনিয়ন্ত্রিত অভ্যাস—সন্তানের বেড়ে ওঠা ঘিরে উদ্বেগ যেন পিছু ছাড়ছে না।
এ বাস্তবতায় কসমো স্কুল, ঢাকার বনশ্রী এফ ব্লক মেইন রোডে (বিস্তারিত তথ্যের জন্য: ০১৯৭২-৯০০০৪৫) বনশ্রী ক্যাম্পাস গড়ে তুলেছে এমন এক শিক্ষা-ব্যবস্থা, যেখানে শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশ ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ এক মহাসমুদ্রের মতো নির্মলভাবে প্রবাহিত।
এটি কেবল একটি স্কুল নয়—এটি একটি সুশৃঙ্খল, পরিচ্ছন্ন, মূল্যবোধসমৃদ্ধ জীবন-পরিবেশ, যেখানে শিশুরা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাটায় সুপরিকল্পিত, শিক্ষণীয় আর আনন্দময় দিন।
গৃহকর্মীর তত্ত্বাবধান নয়—এবার সন্তানের পাশে দক্ষ শিক্ষকবৃন্দ
অনেক পরিবারে বাবা–মা চাকরিতে ব্যস্ত; ফলে সন্তানের দীর্ঘ সময় কাটে গৃহকর্মীর সঙ্গে। শিশুর ভাষা, আচরণ, চলাফেরা, আত্মনিয়ন্ত্রণ—সবকিছুই তখন গৃহকর্মীর অভ্যাসের প্রতিফলনে তৈরি হয়। কসমো স্কুল অজান্তে ঘটে যাওয়া এ ক্ষতটিকে গভীরভাবে বুঝেছে। তাই ডে-লং মডেলে—
- সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষকের তত্ত্বাবধান
- নিয়মিত আচরণগত পর্যবেক্ষণ
- ভদ্রতা, দায়িত্ববোধ ও শৃঙ্খলা শিক্ষা
- প্রতিদিনের Meditation, Yoga ও Autosuggestion
শিশুর চরিত্রকে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করায়।
একটি শিশু যখন বড় হয় শিক্ষকের মূল্যবোধ ও বন্ধুদের ইতিবাচক পরিবেশে, তখন তার ভেতরে গড়ে ওঠে সৌন্দর্য, আত্মমর্যাদা ও নৈতিক দৃঢ়তা—যা কোনো গৃহকর্মীর পরিবেশে সম্ভব নয়।

একাডেমিক দৃঢ়তা—মুখস্থ নয়, বুঝে শেখা
দেশের বড় চ্যালেঞ্জ হলো মুখস্থনির্ভর শিক্ষা। কসমো স্কুল সেই ধারা ভেঙে এনেছে—
- Concept-Based Learning
- বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষিত শিক্ষক
- গণিত, বিজ্ঞান, ইংরেজি—সবকিছুতে বোঝার ওপর জোর
- ক্লাসওয়ার্ক ও হোমওয়ার্ক স্কুলেই সম্পন্ন
এর ফলে রাতেও অভিভাবকদের সন্তানের পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে না। শিক্ষার্থীরা স্কুলেই বুঝে নেয় সকল পাঠ, চর্চা করে, প্রয়োগ করে—শেখা হয়ে ওঠে আনন্দের।
মোবাইল–ডিভাইস থেকে মুক্ত স্বাস্থ্যকর জীবন
আজকের শিশু যারা সারাদিন ফোনে গেম দেখে বা ভিডিও দেখে বড় হচ্ছে—তাদের মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে, সৃজনশীলতা হারিয়ে যাচ্ছে, আচরণে দেখা দিচ্ছে অস্থিরতা। কসমো স্কুল সেই অশুভ প্রবণতার বিপরীতে দাঁড়িয়েছে দৃঢ়ভাবে:
- সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা - পুরোপুরি ডিভাইস-মুক্ত জীবন।
- বন্ধুদের সঙ্গে খেলা, গল্প, হাসি, শেখা—
একটি নিরাপদ ও প্রাণবন্ত পরিবেশে শিশুর বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করে।

পরিচ্ছন্নতা শিশুদের আচরণ, রুচি ও মনোভাব পরিবর্তন করে
কসমো স্কুলের পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস, প্রশস্ত করিডোর, হাইজেনিক ওয়াশরুম, খাবার ও বিশ্রামের সুনির্দিষ্ট জায়গা—সবই শিশুদের পরিপাটি জীবনে অভ্যস্ত করে।
গঠনমূলক শারীরিক ও মানসিক বিকাশ
- Meditation: মনকে শান্ত ও মনোযোগী করে
- Yoga: শারীরিক নমনীয়তা ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে
- Karate: আত্মরক্ষা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি
- Rest Time: শিশুর ক্লান্তি দূর করে শেখার গতি বাড়ায়
- পর্যাপ্ত পানি পান: নির্দিষ্ট বিরতীতে Water Routine
- Nutritionist-Approved Meals:
- সকালের টিফিন
- দুপুরের খাবার
- বিকেলের স্ন্যাকস
শিশুর দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসকে মানসম্মত ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
লাইব্রেরি, সায়েন্স ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব—হাতে–কলমে শেখার আলাদা জগৎ
শুধু বই নয়—
প্রায়োগিক অভিজ্ঞতা, দলীয় কাজ, প্রদর্শনী, বিজ্ঞান চর্চা, পড়ার অভ্যাস—সবই শিক্ষার্থীর ভেতরে জন্ম দেয় অনুসন্ধিৎসা ও কৌতূহল।
কেনো কসমো ডে-লং মডেল কর্মজীবী বাবা–মায়ের জন্য সেরা?
- অফিসে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত থাকার সুযোগ
- সন্তান সারাদিন নিরাপদ পরিবেশে
- পড়াশোনা–হোমওয়ার্ক–অ্যাক্টিভিটি—সব স্কুলেই সম্পন্ন
- ডিভাইস-মুক্ত মনোযোগী জীবন
- কোনও ভুল অভ্যাস বা অযাচিত আচরণের ঝুঁকি নেই
- শিক্ষক–অভিভাবকের সরাসরি যোগাযোগ
- নৈতিক, সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও আলোকিত সন্তান হিসেবে বেড়ে ওঠা
আপনি যখন অফিসে কাজ করবেন,
আপনার সন্তান থাকবে সুরক্ষিত, শিক্ষিত এবং সুখে–আনন্দে ঘেরা এক পরিপূর্ণ জগতে।
কসমো স্কুলের মূল লক্ষ্য—
দক্ষ, মূল্যবোধসম্পন্ন, চরিত্রবান, আলোকিত ভালো মানুষ তৈরি।
কসমো স্কুল দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—
সন্তানের ভবিষ্যৎ শুধু বইয়ে নয়, পরিবেশে লুকিয়ে আছে।
যে পরিবেশ তাকে রক্ষা করবে, গড়বে, নৈতিকতা শেখাবে, ভালোবাসা দেবে—সেখানেই সে সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠবে।
কসমো স্কুল সে পরিবেশ তৈরি করেছে প্রতিটি শিশুর জন্য—
পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ, ডিভাইস-মুক্ত, মূল্যবোধসমৃদ্ধ, একাডেমিকভাবে শক্তিশালী, আনন্দময় এক জগৎ।
সবার দেশ/কেএম




























