পিঁছু হটার ইঙ্গিত ট্রাম্পের?
মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিমান ও জাহাজ সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে, এরমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র কাতার ও বাহরাইনের ঘাঁটি থেকে কয়েকটি যুদ্ধবিমান ও নৌযান সরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুই মার্কিন কর্মকর্তা। ইরানে ইসরায়েলের বোমা হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়াবে কি না—এ বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনিশ্চিত অবস্থানের মাঝেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ব্লুমবার্গকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা বলেন, বিমান ও জাহাজ অপসারণ মূলত মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার কৌশলগত সিদ্ধান্ত। তবে ঠিক কতগুলো বিমান বা জাহাজ সরানো হয়েছে এবং সেগুলো কোথায় নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তারা কিছু জানাননি।
এক কর্মকর্তা জানান, কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটি থেকে সেসব বিমান সরানো হয়েছে যেগুলো ‘শক্ত বাঙ্কারে’ ছিলো না। একইভাবে বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫ম নৌবহরের ঘাঁটি থেকেও কিছু জাহাজ সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তার ভাষায়, এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়, বরং বাহিনীর সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিফলন।
এদিকে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ১৯ জুন এক সতর্কতা জারি করেছে। এতে দূতাবাসকর্মীদের কাতারের মরুভূমিতে অবস্থিত আল-উদেইদ ঘাঁটিতে সাময়িকভাবে প্রবেশ না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রহস্যময় বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। ট্রাম্প বলেন, আমি এতে (যুদ্ধে) জড়াতে পারি, আবার নাও পারি। কেউই জানে না আমি কী করবো।
তথ্যসূত্র: আরব নিউজ
সবার দেশ/কেএম




























