সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম
‘৮–১২ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, তফসিল হতে পারে ১১ ডিসেম্বর’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পরিকল্পনা অনুযায়ী এ সময়সীমার মধ্যেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হবে, আর তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে ১১ ডিসেম্বর। তবে সময়সূচিতে এক–দু’দিন হেরফেরও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে কমিশন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজন করা হবে। ফলে ফেব্রুয়ারির ৮ থেকে একটু পর বা ১২ তারিখের একটু আগে—যেকোনও একটি দিনে নির্বাচন-গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে। তিনি জানান, এ সময়সীমার মধ্যে মঙ্গলবারই সবচেয়ে সম্ভাব্য দিন হিসেবে বিবেচনায় রয়েছে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, আগামী রোববার অনুষ্ঠিতব্য কমিশন সভায় নির্বাচন ও গণভোটের সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা হবে। সেখানে ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক–দু’দিন আগেও তফসিল প্রকাশ হতে পারে।
একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের কারণে ভোটের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর বিষয়টিও কমিশনের বিবেচনায় রয়েছে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জনগণের ভিড় ও প্রক্রিয়ার চাপ বিবেচনায় গোপন কক্ষ (সিক্রেট বুথ) বাড়ানো এবং ভোটের সময় সামনের-পিছনের দুই দিকেই বাড়ানোর প্রস্তাব আলোচনা হচ্ছে। বর্তমানে সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। কমিশন চাইলে তা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু করে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
তিনি আরও জানান, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে, বিশেষ করে একসঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় কার্যক্রম—সংসদ নির্বাচন ও গণভোট—সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন হবে।
সবার দেশ/কেএম




























