যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে ফ্লাইট অবতরণে ছাড়
বিমানযাত্রীদের মায়ের মমতায় দেখলেন খালেদা জিয়া

প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার এ প্রত্যাবর্তন শুধু রাজনৈতিক দিক থেকেই নয়, মানবিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ, যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে নিজের আরাম বিসর্জন দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, আগামী ৫ মে (সোমবার) দেশে ফিরছেন বেগম জিয়া। এর আগের দিন ৪ মে লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি নির্ধারিত ফ্লাইটে তিনি রওনা দেবেন।
জানা গেছে, বিমানের পক্ষ থেকে প্রস্তাব ছিলো—তার অসুস্থতার কথা বিবেচনায় রেখে ফ্লাইটটি আগে ঢাকায় অবতরণ করানো হোক। এতে খালেদা জিয়ার জন্য অন্তত দুই ঘণ্টার সময় ও ক্লান্তি সাশ্রয় হতো। কিন্তু তিনি সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বলেন, ফ্লাইটে থাকা অন্যান্য সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি হবে। আমার সময় বাঁচলেও, অন্যদের সময় নষ্ট হবে—এটা ঠিক নয়।
বিমান যদি ঢাকা আগে নামতো, সিলেটগামী যাত্রীদের যাত্রাপথ দীর্ঘ হয়ে যেতো। আর সে বিবেচনায়ই নিজের কষ্ট সহ্য করে যাত্রীদের স্বস্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
যাত্রীদের প্রতি সহমর্মিতার বিরল নজির
বেগম খালেদা জিয়ার এ সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই মানবিক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। নিজের অসুস্থতা, দীর্ঘ যাত্রা এবং বয়সের চাপ থাকা সত্ত্বেও, জনগণের সুবিধার কথাই আগে ভেবেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, লন্ডনে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রায় তিন মাস ২৮ দিন। ফিরে আসার এ যাত্রায়ও একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নয়, এক জননেত্রীর মানবিক দায়িত্ববোধ দেখা গেলো বলে মনে করছেন অনেকে। এ ঘটনায় রাজনীতির বাইরেও সাধারণ মানুষের প্রতি এক অনাড়ম্বর, দায়িত্বশীল অভিব্যক্তির পরিচয় দিলেন খালেদা জিয়া।
ফ্লাইটটি যথানিয়মে আগে সিলেট, পরে ঢাকায় অবতরণ করবে। সেখান থেকেই তিনি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যেই সিলেট ও ঢাকায় দুই জায়গায়ই তাকে অভ্যর্থনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে দেশে নতুন রাজনৈতিক আবহ সৃষ্টি হতে পারে।
সবার দেশ/কেএম