যানজটে সাধারণের সঙ্গে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা
জুবাইদা রহমানের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান রাজধানীর যানজটে সাধারণ যানবাহনের সঙ্গে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে ধানমন্ডির ‘মাহবুব ভবন’ থেকে গুলশানের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পথে তার গাড়িবহর প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধানমন্ডি, আড়ং মোড়, মনিপুরী পাড়া এবং বিজয়সরণি সড়কে যানজটে আটকা পড়ে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে পুলিশ প্রটেকশন গাড়ি এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার গাড়ি থাকলেও জুবাইদা রহমানের গাড়িবহর কোনো হুইসেল বা বিশেষ সুবিধা ব্যবহার না করে সাধারণ যানবাহনের সঙ্গে ধীর গতিতে চলতে থাকে। বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা বাহিনী (সিএসএফ)-এর একজন সদস্য জানান, সাধারণ পরিবহন থামিয়ে ভিআইপি গাড়ির মতো হুইসেল বাজিয়ে দ্রুত যাওয়ার পরিবর্তে আমরা নির্দেশনা মেনে যানজটে আস্তে আস্তে অগ্রসর হয়েছি, যাতে যাত্রী সাধারণের মধ্যে বিরক্তি সৃষ্টি না হয়।
তিনি আরও জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ধানমন্ডি থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশানে জুবাইদা রহমানের বাসায় পৌঁছানো সম্ভব হয়।
এর আগে, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বের হয়ে ধানমন্ডির ‘মাহবুব ভবনে’ যান জুবাইদা রহমান। তার সঙ্গে ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি এবং পুলিশের আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দুপুরে তিনি ধানমন্ডির একটি মসজিদে মহিলাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে জুমার নামাজ আদায় করেন। এরপর ‘মাহবুব ভবনে’ প্রয়াত বাবা সাবেক নৌপ্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের বাসায় মা ইকবাল মান্দ বানুসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান।
জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তার দায়িত্বে সার্বক্ষণিক রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলাম শামস এবং বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমনসহ কয়েকজন নেতা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি মা ইকবাল মান্দ বানুকে পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর মাহবুব ভবনে নিয়ে যান।
গত মঙ্গলবার ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরে জুবাইদা রহমান শাশুড়ি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশানের ‘ফিরোজায়’ অবস্থান করছেন। প্রতিদিন তিনি মাহবুব ভবনে এলেও রাতে ফিরোজায় শাশুড়ির সঙ্গে থাকছেন।
জুবাইদা রহমানের এ সাধারণ আচরণ এবং যানজটে সাধারণ মানুষের মতো অপেক্ষা করার মনোভাব সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। তার এ পদক্ষেপ অনেকের কাছে প্রশংসিত হয়েছে এবং সাধারণ নাগরিকদের প্রতি সম্মান প্রকাশের একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সবার দেশ/কেএম