গলে ‘জোড়া সেঞ্চুরি’, ‘ট্রিপল’ আক্ষেপ বাংলাদেশের
গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি হতে পারতো স্বপ্নের। ডাবল সেঞ্চুরি হতে পারতো নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহীমের। লিটন দাসেরও হাতছানি দিচ্ছিলো শতরানের ইনিংস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিনটা রয়ে গেলো ত্রিমুখী আক্ষেপে মোড়ানো।
শান্ত থামলেন ১৪৮ রানে, ডাবলের স্বপ্নভঙ্গ। এরপর মুশফিক আউট হলেন ১৬৩ রানে—চতুর্থবারের মতো ডাবল মিস। আর লিটন ফিরে যান মাত্র ১০ রান দূরে থেকে, ৯০ রানে। বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়েও ৫০০ রান স্পর্শ করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান, যা দেশের টেস্ট ইতিহাসে ১৪তম সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
শান্ত-মুশফিকের রেকর্ড ছোঁয়ার আক্ষেপ
দিন শুরু করেছিলেন শান্ত ও মুশফিক জোড়া সেঞ্চুরি নিয়ে। আগের দিন ৩৯২ রানে দিন শেষ করা এ জুটি দ্বিতীয় দিন এগিয়ে নেন ইনিংস। শান্ত ২৭৯ বল খেলে ১৪৮ রান করে আউট হলে ভাঙে ২৬৪ রানের জুটি—যা চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড স্পর্শ করতে পারেনি মাত্র ২ রানের জন্য।
মুশফিক অবশ্য এরপর লিটনের সঙ্গে ১৪৯ রানের আরেকটি দুর্দান্ত জুটি গড়েন। দেড়শ’ পার করা ইনিংসে মুশফিক ৩৫০ বল খেলে ১৬৩ রানে বিদায় নেন, যেখানে ছিলো মাত্র ৯টি চার। ক্যারিয়ারে এটি তার সপ্তম দেড়শ’র ইনিংস।
লিটনের শতরানের মিস
লিটন দাস খেলছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। ১২৩ বলে ৯০ রানে ফিরতে হয় তাকে। ইনিংসে ছিল ১১টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা। সেঞ্চুরির কাছাকাছি এসেও হঠাৎই থেমে যেতে হয় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে।
দ্বিতীয় দিনে ধস: বৃষ্টি ও আলোয় বিঘ্নিত খেলা
বৃষ্টিতে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় খেলা বন্ধ ছিলো। পরে আলোকস্বল্পতায় ১১ ওভার আগেই দিনের খেলা শেষ হয়। দিনের শুরুতে নির্ভার ব্যাটিং করা দলটি পরে ৬১ রানে হারায় ৫ উইকেট। জাকের আলী (৮), নাঈম হাসান (১১) ও তাইজুল ইসলাম (৬) দ্রুত বিদায় নেন। হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা শূন্য রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।
৫০০ ছুঁতে পারবে?
তৃতীয় দিন সকালে হয়তো ইনিংস ঘোষণা করে প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠাবে বাংলাদেশ। অথবা শেষ উইকেট জুড়ে কিছু রান যোগ করার চেষ্টা করবে। ১৬ রান দূরে থাকা ৫০০ ছোঁয়ার আশায় রইল টাইগাররা।
লঙ্কানদের বোলিং সাফল্য
লঙ্কানদের তিন বোলারই সমানভাবে সাফল্য ভাগ করে নিয়েছেন। পেসার আসিথা ফার্নান্দো, স্পিনার থারিন্ডু রত্নায়েকে এবং মিলান রত্নায়েকে—তিনজনই পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
কে ড্রাইভিং সিটে?
এ প্রশ্নে বাংলাদেশের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাবধানী উত্তর দিয়েছেন। বলেছেন, কে ড্রাইভিং সিটে তা বলা যাবে না। উইকেট এখনও ব্যাটিং সহায়ক। আমাদের কিছু ভুল শটে উইকেট গেছে। তাই ম্যাচ এখনও খোলা, বিশেষ করে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার পাল্টা জবাবের অপেক্ষায় দিন গুনছে গল টেস্ট।
সবার দেশ/কেএম




























