সিন্ডিকেটমুক্ত করার সুযোগ এখনই
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলছে

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আসছে ১৫ মে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসবেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারই উপযুক্ত সময় শ্রমবাজারকে সিন্ডিকেটমুক্ত করার।
এর আগেও এ বাজার কয়েকবার খুললেও সীমিতসংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি দিয়ে সিন্ডিকেট গঠন করে শ্রমিক পাঠানো হয়েছিলো। এতে অতিরিক্ত খরচ, দুর্নীতি ও অনিয়মে ভোগান্তির শিকার হন হাজারো শ্রমিক। এমনকি অনেকে মালয়েশিয়া গিয়েও কাজ বা বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটিয়েছেন।
সূত্র জানায়, আগের মতোই কিছু চক্র আবারও সিন্ডিকেট চালু করার চেষ্টা করছে। তারা ভুল তথ্য দিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে প্রভাবিত করতে চায়। তাদের অভিযোগ, এসব সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে শ্রমিকদের ঠকিয়েছে এবং সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যতীত মালয়েশিয়ার অন্য ১৪টি সোর্স কান্ট্রিতে কোনো সিন্ডিকেট নেই। অথচ এখানকার শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রায় ১.৫ লাখ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়েছে, যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
এ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন (স্বপন), দাতোশ্রী আমিন নূরসহ কয়েকজন প্রভাবশালী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিক। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ শরিফুল হাসান বলেন, নতুনভাবে শ্রমবাজার খুললে পুরনো সিন্ডিকেট যেন আর ফিরে আসতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহারও ঠেকাতে হবে। পাশাপাশি যেসব শ্রমিক মালয়েশিয়ায় অবৈধ অবস্থানে আছেন, তাদের বৈধকরণ জরুরি।
তিনি আরও বলেন, আগের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৮ হাজার প্রতারিত কর্মীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সরকার যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আবারও শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা ও দুর্নীতি ফিরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সবার দেশ/কেএম