প্রকৌশলীদের দাবি ‘ভয়ের কিছু নেই’
যমুনা রেলসেতুর পিলারে ফাটলের ছবি ভাইরাল
যমুনা রেলসেতুর পিলারের নিচে ফাটলের মতো কিছু চিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিগুলো ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হলেও কর্তৃপক্ষ বলছে—এগুলো আসলে ফাটল নয়, বরং প্রচণ্ড গরমে সৃষ্ট চুলের মতো সূক্ষ্ম ফাঁকা বা ‘হেয়ার ক্র্যাক’, যা সেতুর কাঠামোর জন্য বিপজ্জনক নয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক, ফ্রান্সের প্রকৌশলী মার্ক হ্যাবি সাংবাদিকদের বলেন,
সেতুর পশ্চিম প্রান্তের প্রায় আট থেকে দশটি পিলারের নিচে ক্ষুদ্রাকৃতির হেয়ার ক্র্যাক দেখা গেছে। এটি কোনো নির্মাণ ত্রুটি নয়, বরং তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে কংক্রিটে স্বাভাবিকভাবে সৃষ্টি হওয়া মাইক্রো ফাঁকা। এগুলোর আকার মাত্র শূন্য দশমিক এক থেকে তিন মিলিমিটার।
তিনি আরও জানান, রেজিন বা আঠার মিশ্রণ ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ফাঁকাগুলো মেরামতের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি পিলারে রিপেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এসব হেয়ার ক্র্যাক সেতুর স্থায়িত্ব বা ট্রেন চলাচলে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না।
মার্ক হ্যাবি অভিযোগ করেন,
কিছু ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে ছবি তুলে কোণ বদলে বড় করে দেখিয়ে অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে।
যমুনা রেলসেতুর একাধিক প্রকৌশলীও জানিয়েছেন,
বড় অবকাঠামোতে ‘হেয়ার ক্র্যাক’ সাধারণ একটি ঘটনা, বিশেষ করে যখন কাঠামো গরমে প্রসারিত হয় এবং ঠান্ডায় সংকুচিত হয়। আন্তর্জাতিক মান অনুসারে এগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মেরামতের আওতায় রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, যমুনা সেতুর প্রায় ৩০০ মিটার উজানে অবস্থিত এ রেলসেতুটি দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু। ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুতে রয়েছে ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যান। এটি ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
সবার দেশ/কেএম




























