কালো ব্যাচ ধারণ
সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ‘হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন’—এর দাবিতে কালো ব্যাচ ধারণ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে এ কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের— ‘জিয়ার সৈনিক, এক হও লড়াই করো’; ‘একশান একশান, ডাইরেক্ট একশান’; ‘ছাত্রদলের একশান ডাইরেক্ট একশান’; ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’; ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবিব, রোকন উদ্দিন, আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, স্বাক্ষর, উল্লাস, রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে হত্যাকন্ডের ঘটনা ঘটেছে তার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। বর্তমান বাংলাদেশে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে, নাহয় সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
নেতাকর্মীরা বলেন, পরিবর্তিত বাংলাদেশের স্বপ্ন থেকে সাম্যরা যখন পরিবর্তিত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছিলেন তখনি তাকে হত্যা করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে শুধুমাত্র ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাই হত্যা, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় ছাত্রদলের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী হত্যার শিকার হলেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে আমার ভাইদের হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। নইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ভিসিকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে।
তারা আরো বলেন, এর আগে পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে, সাম্যকেও হত্যার শিকার হতে হলো। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সবসময় নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বিচার পায়না। এ হত্যাকাণ্ড নিছক শুধু হত্যাকাণ্ড নয়, এ হত্যাকাণ্ডকে একটি প্রজন্মের আদর্শকে মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। এ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গত ১৬ বছর ধরেই গুম, খুনের শিকার হচ্ছে যা এখনো বন্ধ হয়নি। ইন্টেরিমকে বলে দিতে চাই, যেকোনও ক্যাম্পাসে আর একটি লাশ পড়লেও আমরা আপনাদের পতনের জন্য রাজপথে নেমে যাবো।
ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, আমার ভাইয়েদের হত্যার দ্রুত বিচার করবে এ ‘ইন্টারিম গভর্নমেন্ট’— অন্যথায় আমরা সরকারের পদত্যাগ দাবি করবো। ড. ইউনুস গেছেন চট্টগ্রামে, সেখানে আমার ভাই শহীদ ওয়াসিম মৃত্যুবরণ করেছে— কিন্তু তার নামে কোনও প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন হয়নি। অথচ অন্যান্য শহীদদের নামে সেখানে ব্যানার-ফেস্টুন করা হয়েছে। সেখানে বৈষম্য করা হয়েছে। আমি ধিক্কার জানাই বর্তমান সরকারকে— যারা একটি পক্ষ পাকিস্তানপন্থী, আরেকটি পক্ষ ভারতপন্থী— আমরা আছি বাংলাদেশপন্থী। আমরা গর্ব করে বলতে পারি, আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এছাড়া কেউ গর্ব করে বলতে পারবে না যে তারা বাংলাদেশপন্থী। আমাদের যেসব নেতাকর্মী খুন ও গুমের শিকার হয়েছে, আমরা সেসব হত্যার বিচার চাই।
সবার দেশ/কেএম