আহত দেড় শতাধিক হাসপাতালে
চবি সংঘর্ষে আইসিইউ শিক্ষার্থী ঢাকায় স্থানান্তর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া দফায় দফায় সংঘর্ষে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে দু’জনের মাথায় মারাত্মক আঘাত লেগেছে এবং একজন ভাস্কুলার ইনজুরিতে আক্রান্ত। অধিকাংশ আহত শিক্ষার্থী ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষে আহত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে:
- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ৭৭ জন
- পার্কভিউ হাসপাতালে ৪৩ জন
- ন্যাশনাল হাসপাতালে ২৪ জন
এছাড়া আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কীভাবে শুরু হলো সংঘর্ষ?
শনিবার (৩০ আগস্ট) গভীর রাতে এক নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ান মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ধারালো অস্ত্রের ব্যবহারসহ সহিংস পরিস্থিতি দেখা দেয়।
নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন ও ১৪৪ ধারা
সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবিদ জানিয়েছেন, সেনা মোতায়েনের পর পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বর্তমানে নিয়মিত টহল ও অভিযান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা
পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুই দিনের জন্য সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে।
সবার দেশ/কেএম




























