স্ত্রীর নাক কেনো এত সুন্দর! রাগে কামড়ে দিলেন স্বামী

ভালোবাসা কি এমনই হয়? একটা নাক—সৌন্দর্যের প্রতীক—হিংসার শিকার হলো!ভালোবাসা নামের ছায়ায় জন্ম নিলো রক্তাক্ত বর্বরতা। ঘটনাটি যেন রূপকথার উল্টো দিক।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার শান্তিপুর...
একটা ঘুমন্ত রাত, আর ঘরের কোণে হঠাৎ ফেটে পড়া বিকারের বিস্ফোরণ। বেরপাড়া এলাকার মধু খাতুন—একজন শান্ত, নিরীহ গৃহবধূ। আর তার স্বামী, বাপন শেখ—প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তাকে নয় বছর আগে। কিন্তু সে প্রেমই একদিন হয়ে উঠলো বিভীষিকা।
মধু খাতুনের অপরাধ? তার নাকটা নাকি ‘অতি সুন্দর’। হ্যাঁ, এ অপরাধেই ঈর্ষায় অন্ধ হয়ে
নিজের স্ত্রীকে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করলেন এক ‘স্বামী’।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে, মধু যখন ঘুমিয়ে— তখনই মদ্যপ বাপন শেখ ঝাঁপিয়ে পড়লেন স্ত্রীর ওপর,
আর নাক কামড়ে দিলেন!
হ্যাঁ, কামড়ে—শুধু দংশন নয়, রক্তাক্ত ক্ষত, অস্ত্রোপচার, আর ভয়ানক মানসিক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন মধু।
মধু জানালেন, স্বামী প্রায়ই বলতেন— তোর নাক এত সুন্দর কেন? কেউ প্রেমে পড়ে যাবে না তো?
এমন কথা যে শুধু ‘মজা’ ছিল না, তা তিনি বুঝতে পেরেছেন খুব দেরিতে।
এর আগেও এসিড নিক্ষেপের হুমকি দিয়েছিলেন বাপন। কিন্তু পরিবার, সমাজ—সব নীরব দর্শক। অবশেষে কামড়ের শিকার হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন মধু।
একটা সমাজে, যেখানে নারীর রূপও তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়— সেখানে আমরা কতটা সভ্য? এটা শুধুই একটি ‘পারিবারিক’ সহিংসতা নয়, এটা নারীর উপর চেপে বসা এক অসুস্থ পুরুষতন্ত্রের দাঁত-নখ।
এ প্রশ্নগুলো এখন শুধু শান্তিপুর নয়— ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের চারপাশে, ঘরে, সোশ্যাল মিডিয়ায়, সংবাদমাধ্যমে।
কারণ, ভালোবাসা যদি কামড়ে দেয়, তাহলে তা ভালোবাসা নয়— তা হয় বিকার।
নারীর সৌন্দর্য নয়, নিরাপত্তা চাই। বিকৃত ভালোবাসার নামে হিংসার বিচার চাই।
সবার দেশ/কেএম