গ্যাস, পানি ও কার্বন ধরার বিপ্লবী কাঠামো আবিষ্কার
রসায়নে নোবেল পেলেন যে তিন বিজ্ঞানী
চলতি বছরের রসায়নে নোবেল পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছেন তিন দেশের তিন বিজ্ঞানী—জাপানের কিউটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুসুমু কিতাগাওয়া, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিচার্ড রবসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলির ওমর এম ইয়াঘি।
ধাতব-জৈব কাঠামো (Metal-Organic Frameworks বা MOFs) উদ্ভাবনের জন্য তাদের এ মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এ অনন্য আণবিক কাঠামো এত বিশাল ও ছিদ্রযুক্ত যে এর ভেতর দিয়ে গ্যাস ও তরল পদার্থ সহজেই প্রবাহিত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ কাঠামো ভবিষ্যতের জ্বালানি ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় এক নতুন যুগের সূচনা করবে।
ধাতব-জৈব কাঠামোর অন্যতম ব্যবহার হচ্ছে মরুভূমির শুষ্ক বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ, বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ, বিষাক্ত গ্যাস নিরাপদে সংরক্ষণ এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অনুঘটক হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখা। এক অর্থে, এটি মানুষের টিকে থাকার মৌলিক উপাদান—বায়ু, পানি ও শক্তি—এসবের ব্যবস্থাপনায় বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স এ বছরের রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।
নোবেলজয়ী এ তিন বিজ্ঞানী যৌথভাবে পাবেন একটি স্বর্ণপদক, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (বর্তমান বাজারদরে প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা)। যেহেতু এ পুরস্কারটি তিনজনের মধ্যে ভাগ হবে, তাই প্রত্যেকে আনুমানিক এক-তৃতীয়াংশ করে অর্থ পুরস্কার পাবেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করেছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স, আর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল ঘোষণা করেছে স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।
বিজ্ঞানমহলের বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, কিতাগাওয়া, রবসন ও ইয়াঘির এ গবেষণা জলবায়ু পরিবর্তন, বিশুদ্ধ পানি সংকট এবং বিকল্প শক্তি আহরণের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
সবার দেশ/কেএম




























