ট্রাম্পের মুখে ‘সুন্দরী’ মন্তব্যে কূটনীতি বিতর্ক
‘তুমি সুন্দরী যুবতী’- মেলোনিকে ট্রাম্প
মিসরের শারম এল-শেইখে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি সম্মেলন মূলত ছিল মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শান্তির সম্ভাবনা খোঁজার এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। কিন্তু ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিরসনে অগ্রগতি অর্জনের পরও আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—আর কারণ, তার এক মন্তব্য।
সম্মেলনের মঞ্চে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে ‘সুন্দরী’ বলায় মুহূর্তেই শুরু হয় বিতর্ক, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপনকালে ট্রাম্প বলেন,
আমাদের এখানে একজন নারী আছেন, একজন তরুণী। আমি আসলে এটা বলার অনুমতি পাই না, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে কোনও নারীকে সুন্দর বললে সাধারণত সেটিই হয় আপনার রাজনৈতিক জীবনের সমাপ্তি।
এরপর সরাসরি মেলোনির দিকে তাকিয়ে তিনি যোগ করেন,
আমি ঝুঁকি নিচ্ছি, কিন্তু বলতে চাই—আপনি সত্যিই সুন্দরী। আশা করি এতে আপনি কিছু মনে করবেন না। এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ, আমি কৃতজ্ঞ।
ট্রাম্পের এ মন্তব্যের মুহূর্তে হলরুমে কিছুটা নীরবতা নেমে আসে। পরে যখন ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, অনেকে একে অস্বস্তিকর বলে আখ্যা দেন। বিশেষত মেলোনির মুখের অভিব্যক্তি দেখে অনেকেই মন্তব্য করেন, তিনি বিষয়টিতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননি।

এদিকে, একই সম্মেলনের আরেকটি ভিডিও ক্লিপও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় মেলোনি হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিতে কথা বলছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে। পাশে ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ওই ভিডিওতে এরদোয়ান মেলোনিকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
আপনাকে দেখতে চমৎকার লাগছে, তবে আমি আপনাকে ধূমপান ছাড়তে বাধ্য করবো। উত্তরে মেলোনি হাসতে হাসতে বলেন, আমি জানি, আমি জানি।
ট্রাম্প ও এরদোয়ানের সঙ্গে এ দুই আলাদা মুহূর্তের ভিডিওর কারণে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি এখন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, শারম এল-শেইখ সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিলো মূলত গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করা। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, ফ্রান্স, ইতালি, তুরস্কসহ নানা দেশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন এ গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বৈঠকে।
তবু শেষ পর্যন্ত শান্তি প্রক্রিয়া নয়, বরং ট্রাম্পের মন্তব্যই যেন ছাপিয়ে গেলো গাজা ইস্যুর কূটনৈতিক অগ্রগতি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া
সবার দেশ/কেএম




























