চাইলেই মাচাদো নোবেলটা আমাকে দিয়ে দিতেন: ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও নিজের নোবেল আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আলোচনায়। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক বক্তব্যে তিনি বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ভেনেজুয়েলার রাজনীতিক মারিয়া কোরিনা মাচাদো ফোনে তাকে জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের সম্মানেই পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন।
ট্রাম্পের ভাষায়,
যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তিনি আজ আমাকে ফোন করে বললেন, ‘আমি এটি আপনার সম্মানে গ্রহণ করছি, কারণ আসলে আপনি এ পুরস্কারের যোগ্য। তিনি খুবই ভদ্র ছিলেন। আমি বলিনি, তাহলে পুরস্কারটা দিন, যদিও মনে হয়, চাইলে তিনি হয়তো দিতেন। খুবই ভালো মানুষ।
জানা গেছে, শুক্রবার ট্রাম্প ও মাচাদোর মধ্যে ফোনালাপ হয়, যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তবু ট্রাম্প জানিয়েছেন, মাচাদোর সঙ্গে তার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ এবং তিনি ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নানা সময় সহায়তা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি তাকে অনেকভাবে সাহায্য করেছি। ভেনেজুয়েলায় এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি, প্রচুর সহায়তার প্রয়োজন। আর আপনি এটাও বলতে পারেন, পুরস্কারটি মূলত ২০২৪ সালের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দেয়া হয়েছে, যখন আমি নির্বাচনে লড়ছিলাম।
স্প্যানিশ দৈনিক এল পাইস-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাচাদো নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে আলাপের বিস্তারিত প্রকাশ করতে চাননি। তিনি বলেন, আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া এ সংগ্রাম আরও কঠিন হতো।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চিউং ট্রাম্পের পক্ষ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, নোবেল কমিটি আবারও দেখালো, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো — একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ উত্তরণের সংগ্রামে তার ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ।
তবে ট্রাম্পের দাবি, প্রকৃত অর্থে এ পুরস্কার তার গাজা শান্তি পরিকল্পনা ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগের স্বীকৃতিই — যা নোবেল কমিটি উপেক্ষা করেছে। তিনি আগেও একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, নোবেল পুরস্কার রাজনৈতিক পক্ষপাতের শিকার।
সবার দেশ/কেএম




























