সীমান্ত হত্যা বন্ধের আহ্বান সরকারের
বিজয় দিবসে ‘ফেলানী এভিনিউ’ উদ্বোধন
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের দৃঢ় বার্তা দিতেই মহান বিজয় দিবসে গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কের নাম ‘ফেলানী এভিনিউ’ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে গুলশান-২ গোলচত্বরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আয়োজনে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সড়কটির নামফলক উন্মোচন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় আমাদের বোন ফেলানী প্রাণ হারিয়েছিলো। তার ওপর চালানো নিষ্ঠুরতা যেনো প্রতিদিন আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়, সে লক্ষ্যেই গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নাম ‘ফেলানী এভিনিউ’ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সীমান্ত হত্যা চায় না এবং সরকারও এই অমানবিক হত্যাকাণ্ড বন্ধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আদিলুর রহমান খান আরও বলেন, একই সঙ্গে বিশ্ব বিবেকের সামনে সীমান্ত হত্যার বাস্তবতা তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তে সীমান্ত হত্যার মতো জঘন্য একটি পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছে। বর্তমান সরকার সব ধরনের সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে চায় বলেই বিজয় দিবসের মতো তাৎপর্যপূর্ণ দিনে ফেলানীর নামে এ সড়কটির উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ফেলানী হত্যাকাণ্ড কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি একটি সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত। এ ধরনের ঘটনার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নামফলক উন্মোচন শেষে ডিএনসিসি মসজিদের ইমাম মাওলানা আনসার উল করিম বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন।
আয়োজকরা জানান, ‘ফেলানী এভিনিউ’ শুধু একটি সড়কের নাম নয়, এটি সীমান্তে নিরীহ মানুষের প্রাণহানি বন্ধে রাষ্ট্রের অবস্থান ও মানবাধিকারের পক্ষে দৃঢ় বার্তার প্রতীক হয়ে থাকবে।
সবার দেশ/কেএম




























