চ্যানেল আই আয়োজিত ‘সালাম স্টিল স্ট্রেইট কাট’ মুখ খুললেন নিজেই
পিনাকী কেনো দেশ ছাড়লেন?
দেশ ছাড়ার পেছনে ডিজিএফআই তাড়না, গুমের ভয় আর এলিট শ্রেণির লুণ্ঠনের দায় তুলে ধরলেন পিনাকী।

লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য এবার মুখ খুললেন—কেনো তিনি বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। চ্যানেল আই আয়োজিত ‘সালাম স্টিল স্ট্রেইট কাট’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পিনাকী জানালেন তার দেশত্যাগের পেছনের অনুচ্চারিত বাস্তবতা।
২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শহীদুল আলম গ্রেফতার হওয়ার দিন সকালে এক ‘মেজর ফারহান’ নামে ব্যক্তি ডিজিএফআই অফিসে যেতে বলেন তাকে।
পিনাকী বলেন, প্রথম কলে ভদ্রভাবে বলা হলেও দ্বিতীয় কলে স্পষ্ট হুমকির সুর ছিলো—আজ সন্ধ্যার আগেই যেতে হবে। এরপর আমি লুকিয়ে যাই। পরদিন ডিজিএফআই আমার বাসা ও অফিসে রেইড চালায়।
তিনি প্রায় পাঁচ মাস আত্মগোপনে থাকেন ঢাকার বিভিন্ন জায়গায়। এরপরও নির্বাচন শেষে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায়, বাসার সামনে ডিজিএফআই-এর পাহারা, নজরদারি এবং ক্রমাগত অনুসরণে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়েন।
‘ডিজিএফআই যার পিছে লাগে, সে ফেরে না—পিনাকীর স্পষ্ট ভাষ্য
পিনাকী বলেন, আমি তখন গুম হওয়া ব্যক্তিদের ডকুমেন্টেশন করছিলাম। দেখেছি, এভাবেই ডিজিএফআই ডেকে নেয়, আর তারা ফেরে না। আমি জানতাম, আমিও একই পরিণতির শিকার হতে পারি।
বাংলাদেশের পতনের দায় কার?
পিনাকীর বিশ্লেষণে উঠে আসে বাংলাদেশের দুর্দশার মূল হোতা হিসেবে দেশের এলিট শ্রেণির নাম। তিনি বলেন, যারা সমাজের নিয়ন্ত্রণে, রাষ্ট্রক্ষমতায়—এ এলিট শ্রেণিই দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। গার্মেন্টস শ্রমিক, রিকশাচালক, ক্ষেতের চাষি—এ সাধারণ মানুষই দেশের অর্থনীতির আসল চালিকাশক্তি। অথচ তারা লুণ্ঠিত হয়।
গালি দিয়ে যদি এলিটদের কিছুটা স্থির রাখা যায়, তাও লাভ
পিনাকী রাখঢাক না করেই বলেন, এ এলিটদের তিনটা ভয়—সম্মান হারানো, মার খাওয়া আর সম্পদ হারানো। আমি মারতে পারি না, গালি দিই। অন্তত গালির ভয়েই যদি তারা স্থির হয়, তবেই হয়তো ১৮ কোটি মানুষের দাসত্ব কিছুটা কমানো যাবে।
সবার দেশ/কেএম