Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:০১, ১৯ মে ২০২৫

সাবেক সেনাদের বিক্ষোভ, যা বললো আইএসপিআর

সাবেক সেনাদের বিক্ষোভ, যা বললো আইএসপিআর
ফাইল ছবি

জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে রবিবার (১৮ মে) বেশ কিছু বরখাস্ত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনাসদস্যের বিক্ষোভ ও দাবিপ্রকাশ নিয়ে সরব হয়েছে সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দফতর আইএসপিআর।

এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন—সেনাবাহিনী সংবেদনশীলতা ও ধৈর্যের সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে, তবে কিছু ‘অনভিপ্রেত আচরণ’ বাহিনীর শৃঙ্খলা ও ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলেও মন্তব্য এসেছে।

দাবির পেছনে ক্ষোভ, সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

বিক্ষোভরত সাবেক সেনাসদস্যরা পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হন এবং গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দলে পৌঁছে তাদের দাবি-দাওয়ার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং আশ্বাস দেন—প্রচলিত বিধি অনুসারে যাচাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তবে আইএসপিআর স্পষ্ট জানিয়ে দেয়—এ দাবিগুলো যেনো কোনও তৃতীয় পক্ষ বা সংগঠনের ব্যানারে নয়, বরং সরাসরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেই উপস্থাপন করা হয়।

‘দুঃখজনক’ পরিস্থিতির বিবরণ

আইএসপিআরের বিবৃতিতে জানানো হয়, দিনব্যাপী সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সহনশীলতা বজায় রাখার পরও বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ প্রতিনিধি দলের গাড়ির সামনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। তারা অশ্রাব্য ভাষায় স্লোগানও দেন, যা বাহিনীর সুশৃঙ্খল ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

আইএসপিআর আরও জানায়—পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু বিশৃঙ্খল সাবেক সদস্যকে ছত্রভঙ্গ করে।

আবেদন প্রক্রিয়া চলছে

এর আগে ১৪ মে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বরখাস্ত সদস্যদের মোট ৮০২টি আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে, বাকি আবেদনগুলো প্রক্রিয়াধীন। আইএসপিআর দাবি করেছে—এ আবেদনের প্রতিটি সেনাবাহিনী মানবিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করছে।

সেনাবাহিনীর বার্তা

আইএসপিআর আবারও স্পষ্ট করে বলেছে—উসকানিমূলক, জনস্বার্থবিরোধী বা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে—এমন কোনো আচরণ সেনাবাহিনী কামনা করে না। বরং সাংবিধানিক কাঠামো ও বাহিনীর শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছে তারা।

সবার দেশ/কেএম