টিউলিপের ট্যাক্স ফাইল ও বাংলাদেশি পাসপোর্টের খোঁজ
ব্রিটিশ সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক নিজেকে শুধু যুক্তরাজ্যের নাগরিক দাবি করলেও বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দেশে ট্যাক্স ফাইল খুলে বহু বছর ধরে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এনবিআরের নথি বলছে, তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন, এমনকি গণভবন শাখায় সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবও রয়েছে তার নামে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, টিউলিপের আয়কর ফাইলের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এনবিআরের হাতে থাকা নথিতে দেখা গেছে, তিনি নিজেকে ‘নিবাসী’ ঘোষণা দিয়ে ট্যাক্স ফাইল খুলেছেন এবং ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) অনুযায়ী টিউলিপ কর অঞ্চল-৬ এর ১২২ নম্বর সার্কেলের করদাতা। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৬ জুন টিআইএন হালনাগাদ করা হয়। ২০০৬–০৭ অর্থবছর থেকে রিটার্ন দাখিল শুরু করেন তিনি। শুরুতে তার ঠিকানা ছিল ধানমন্ডির সুধাসদন, পরে ২০১৪–১৫ করবর্ষে ঠিকানা পরিবর্তন করে গুলশান-১ উল্লেখ করেন।
সোনালী ব্যাংকের গণভবন শাখায় খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও একই ঠিকানা ব্যবহার করেছেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে অন্তত সাতটি ব্যাংক স্টেটমেন্টে বিপুল অঙ্কের লেনদেন ধরা পড়ে।
আয়কর নথি পরীক্ষা করে টিউলিপের স্বাক্ষরে একাধিক অসঙ্গতি পেয়েছে এনবিআর। সংস্থাটি বিষয়টিকে সন্দেহজনক মনে করছে। কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট।
দুদক বলছে, টিউলিপের আয়কর ফাইল যাচাই-বাছাইয়ে তার আয়ের উৎস ও ব্যয়ের খাত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, তদন্ত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট রেকর্ড জব্দ করেছেন এবং সেগুলো পর্যালোচনা করছেন। তদন্ত শেষ হলেই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শুধু আয়কর নথিই নয়, বাংলাদেশের ভোটার তালিকাতেও টিউলিপ সিদ্দিকের নাম রয়েছে। পুরোনো ভোটার আইডি পরিবর্তন করে তিনি নতুন স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করেছেন। ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি পুরোনো ভোটার কার্ড বাতিলের পর তার নামে নতুন বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু হয়, যা তিনি ১৭ জানুয়ারি গ্রহণ করেন। তখনও ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ ছিল ধানমন্ডির সুধাসদন।
সবার দেশ/এফও




























