নির্বাচনী আচরণবিধিতে ইসির নতুন কঠোর নির্দেশনা
নির্বাচনী জনসভার ২৪ ঘণ্টা আগে জানাতে হবে পুলিশকে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জনসভা আয়োজন, প্রচারণা ও প্রচারসামগ্রীর ব্যবহারে নতুন করে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণবিধি সংক্রান্ত ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপনে এসব নির্দেশনা বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে রাজনৈতিক দল কিংবা কোনো প্রার্থীকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের প্রচারণা কর্মসূচির প্রস্তাব জমা দিতে হবে। একই সময় ও একই স্থানে যদি একাধিক প্রার্থী বা দলের কর্মসূচি থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন অনুযায়ী তা সমন্বয় করে দেবে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে।
জনসভা আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, কেউ জনসভা করতে চাইলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে সে সভার স্থান ও সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করতে হবে। পুলিশ এরপর জনসমাগম, চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব নেবে।
প্রচারণা সামগ্রী নিয়েও কড়া নির্দেশ দিয়েছে ইসি। কোনো প্রার্থীর ফেস্টুন, ব্যানার বা বিলবোর্ডের ওপর অন্য কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচারণা সামগ্রী টাঙানো যাবে না। অন্যের প্রচারণা সামগ্রী বিকৃতি বা বিনষ্ট করাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ—এমন কাজকে আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করা হবে।
এছাড়া, সংসদীয় আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা বা মহানগর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি এবং পুরো নির্বাচনী এলাকায় সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করার সীমা বেঁধে দিয়েছে কমিশন। যে সংখ্যা বেশি হবে, সেটিই প্রযোজ্য হবে। এতে অতিরিক্ত বিলবোর্ড স্থাপন ও প্রচারণার নামে বিশৃঙ্খলা রোধ করার লক্ষ্য নিয়েই এ বিধান যোগ করা হয়েছে।
নির্বাচনী জনসভায় ব্যবহার করা যাবে সর্বোচ্চ তিনটি মাইক্রোফোন বা লাউডস্পিকার। একই জনসভায় এর বেশি ব্যবহার করা যাবে না। তবে সাধারণ প্রচারণায় ব্যবহৃত হাতের মাইক বা লাউডস্পিকারের ক্ষেত্রে এ বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না।
ইসির এ নতুন নির্দেশনা নির্বাচনী মাঠে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, প্রার্থীদের মধ্যে সংঘাত ঠেকানো এবং সমান প্রচারণার সুযোগ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই জারি করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়।
সবার দেশ/কেএম




























