আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে সন্ত্রাস দমনে কড়া পদক্ষেপ
শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট–ফেজ ২’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং তথাকথিত ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট: ফেজ–২’ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, লুট হওয়া ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে। এ লক্ষ্যেই কোর কমিটি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট: ফেজ–২’ অবিলম্বে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার ভাষায়, ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমন ও নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য।
নির্বাচনকালীন আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং আগ্নেয়াস্ত্র বহনের প্রয়োজন হবে, তাদের ক্ষেত্রে লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য যেসব প্রার্থীর বৈধ অস্ত্র সরকারের কাছে জমা রয়েছে, সেগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী ফেরত দেয়া হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তার নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সরকার এ বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তারেক রহমান দেশে প্রত্যাবর্তন করলে তার নিরাপত্তায় কোনও ঘাটতি থাকবে না এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদারকির জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটি সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এ সময় তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধা ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনাকে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, হামলার সঙ্গে জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে কোনও ধরনের ছাড় দেয়া হবে না বলেও তিনি স্পষ্ট করে জানান। একই সঙ্গে দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত গ্রেফতারে জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা। নির্বাচনকে ব্যাহত বা বানচাল করার যেকোনও ধরনের ষড়যন্ত্র অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হাতে দমন করবে—এমন দৃঢ় প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।
সবার দেশ/কেএম




























