হাদির ওপর হামলাকে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত
হাদি আমার নির্বাচনী প্রতিযোগী, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়: মির্জা আব্বাস
ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘গণতন্ত্রের ওপর আঘাত’ হিসেবে অভিহিত করে তার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, এ ঘটনার পেছনে একটি দল পরিকল্পিতভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চেয়েছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, হাদি তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, একজন নির্বাচনী প্রতিযোগী। তিনি রাজপথের সাহসী সৈনিক হিসেবে হাদিকে আখ্যায়িত করে আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনী মাঠে হাদি আবারও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।
সমাবেশে তিনি আরও বলেন, হাদি যেনো তার সন্তান সমতুল্য। হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে তিনি মানসিকভাবে আহত হয়েছেন। এ হামলা শুধু ব্যক্তিগত আঘাত নয়, এটি গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। হামলাকারীদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।
মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, হাদির ওপর হামলার আধাঘন্টা পরেই একটি রাজনৈতিক দল ফেসবুকে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিত পোস্ট দিয়ে পরিস্থিতি অস্থির করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে গিয়ে তা দেখতে পেয়ে নিশ্চিত হয়েছেন, হামলাকারীরা হাদির সমর্থক নয়; তারা অন্য একটি দলের সক্রিয় সদস্য। তারা চেয়েছিলো, হাদির চিকিৎসা ব্যাহত হোক এবং তার প্রাণহানি ঘটুক।
তিনি বলেন, একটি দলের ষড়যন্ত্রের ইতিহাস আমরা ৭১, ৮৬-সহ অনেক দেখেছি। এরা স্থির রাষ্ট্র সহ্য করতে পারে না, তাই সবসময় রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়ার ঘটনাও এদের কর্মকাণ্ডের অংশ।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন করেছেন এবং কখনো মারামারি করেননি। প্রার্থীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে একসাথে কোলাকুলি করেছেন, খেয়েছেন। কিন্তু মারামারি করে ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে একটি বিতর্কিত রাজনৈতিক দল। তাই তার মূল দাবি, হাদীর ওপর হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক এবং ওই দলের মুখোশ উন্মোচিত হোক।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সবার দেশ/কেএম




























