জুলাই আন্দোলনে অজ্ঞাত শহীদের লাশ উত্তোলন শুরু রোববার
জুলাই–আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রাণ হারানো অজ্ঞাত ১৮২ শহীদের লাশ উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আগামী রোববার (৭ ডিসেম্বর)।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা এ সব লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. লুইস ফন্ডেব্রিডার এবং সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহর নেতৃত্বে সিআইডির ফরেনসিক টিম উপস্থিত থেকে উত্তোলন, শনাক্তকরণ ও নমুনা সংগ্রহের কাজ তদারকি করবেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন এ চলমান অভিযানে।
এর আগে ২ ডিসেম্বর রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে অজ্ঞাত শহীদদের কবর পরিদর্শন করে সিআইডির দল প্রাথমিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করে। কবর শনাক্ত, নম্বরিং এবং উত্তোলনের সম্ভাব্য প্রক্রিয়া নিয়ে তখন বিস্তারিত সমন্বয় করা হয়।
মরদেহ উত্তোলনের অনুমতির বিষয়ে সিআইডির আবেদন পর্যালোচনা করে গত ৪ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান নির্দেশ দেন। আবেদনটি করেছিলেন মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়—কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে উদ্ভূত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ নিহত হন। তাদের মধ্যে অনেককে অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা হয়েছিলো। পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষাই একমাত্র উপায়।
সিআইডির ফরেনসিক ইউনিট জানিয়েছে, কবরস্থান এলাকায় ইতোমধ্যে অস্থায়ী তাবু স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে লাশ উত্তোলনের পরই সম্পন্ন হবে প্রাথমিক ফরেনসিক পরীক্ষা, নমুনা সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত। সব প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ যথাযথ ধর্মীয় ও আইনগত বিধান অনুসরণ করে পুনরায় দাফন করা হবে।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত অজ্ঞাত শহীদদের পরিচয় উদ্ঘাটনে এ উদ্যোগকে দেশের মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সবার দেশ/কেএম




























