নিষিদ্ধ বয়ান
ওবায়দুল কাদেরের বয়ান: সত্যের মুখোশে ষড়যন্ত্রের ছায়া
৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী পলাতক হাসিনার পতন এবং তার দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণের পর সাধারণ মানুষের মনে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ জমা হয়েছে দলটির শীর্ষ নেতাদের প্রতি। এর মধ্যে অন্যতম নাম ওবায়দুল কাদের—নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী।
সাধারণত ইতিহাসের মোড় ঘোরানো সময়গুলোতে যারা ক্ষমতায় থাকেন, পরবর্তী অধ্যায়ে তাদের উপস্থিতি নিয়ে থাকে জনমানসে নানা প্রশ্ন, সন্দেহ, আর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। দীর্ঘ নয় মাস নিরব থাকার পর ভারতের এক প্রান্ত থেকে মুখ খুললেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ৫ আগস্টের ঘটনার পর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। গুঞ্জন উঠেছিলো তিনি আহত, কেউ বলেছিল নিহত, কেউ আবার বলেছিলো আত্মগোপনে। অবশেষে ভারতীয় একটি মিডিয়ায় হাজির হয়ে নিজের একটি ‘রহস্যময় নাটকীয়’ পালানোর গল্প বললেন—যা শুনে দেশের সচেতন নাগরিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তিনি বেঁচে আছেন, তা প্রমাণিত হলো, কিন্তু তার বয়ান কি সত্য?
গণমাধ্যমে তার সাক্ষাৎকার নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি যে গল্প বর্ণনা করেছেন, তা কেবল অবিশ্বাস্যই নয়, বরং সত্যের আড়ালে ষড়যন্ত্রের গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ আলোচনায় আমরা ওবায়দুল কাদেরের বয়ানের সত্যতা, তার রাজনৈতিক ইতিহাস এবং জনমনে উত্থিত প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করবো।
মুখ খুললেন কাদের, কিন্তু প্রশ্ন খুলে গেলো আরও অনেক
ওবায়দুল কাদের দাবি করেছেন, ৫ আগস্ট সংসদ ভবনের পাশে একটি প্রতিবেশীর বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ভাঙচুর হয়েছিলো, এবং কিছু ছাত্র তাকে ও তার স্ত্রীকে বাথরুম থেকে বের করে এনেছিলো। তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা তাকে চিনে ফেললেও জনতা বা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়নি। বরং তারা তাকে শার্ট পরিয়ে, ট্যাক্সিতে তুলে এবং ‘চাঁচা চাচী’ পরিচয়ে হাসপাতালে যাওয়ার নাম করে নিরাপদে ঢাকার বাইরে পৌঁছে দিয়েছে। এমনকি তারা তার সঙ্গে সেলফি তুলেছে। এ বয়ান শুনতে গল্পের মতো মনে হলেও বাস্তবতার সঙ্গে এর কোনও মিল নেই।
প্রথমত, ওবায়দুল কাদেরের দাবি যে সংসদ ভবনের পাশে ভাঙচুর হয়েছিলো, তা ঐতিহাসিকভাবে ভুল। ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে গণভবন ছাড়া রাজধানীতে অন্য কোনো সরকারি বা বেসরকারি ভবনে উল্লেখযোগ্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। সেদিন ছাত্র-জনতার আন্দোলন কেন্দ্রীভূত ছিলো গণভবন এবং এর আশপাশের এলাকায়। তাই কাদেরের দাবি যে তিনি সংসদ ভবনের পাশে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং সেখানে ভাঙচুর হয়েছিল, তা সরাসরি প্রশ্নের মুখে পড়ে।
দ্বিতীয়ত, তার বয়ানে ছাত্রদের ভূমিকা নিয়ে যে গল্প তিনি বলেছেন, তা আরও অবিশ্বাস্য। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ওবায়দুল কাদের ছিলেন ছাত্র-জনতার ক্ষোভের অন্যতম লক্ষ্য। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনার শাসনের প্রধান সহযোগী ছিলেন। জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় তিনি দাবি করেছিলেন, আন্দোলন দমাতে তার ছাত্রলীগই যথেষ্ট। এ বক্তব্য জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিলো। এমন একজন ব্যক্তিকে ছাত্ররা চিনে ফেলার পরও জনতা বা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে না দিয়ে কেন তাকে নিরাপদে পৌঁছে দেবে? এমনকি তার সঙ্গে সেলফি তুলবে? এ গল্পের যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি যদি সত্যিই ছাত্রদের হাতে ধরা পড়েছিলেন, তাহলে সে সেলফিগুলো কোথায়? এ ধরনের সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার কথা ছিলো, কিন্তু এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এত জনরোষের মুখে থেকেও ওবায়দুল কাদের কীভাবে সাধারণ ছাত্রদের সহানুভূতি পেলেন? তা যদি সত্য হয়—তবে কি ছাত্রদের মাঝে বিভাজন তৈরি হয়েছে? না কি এটি একটি সাজানো নাটক, যার মাধ্যমে আওয়ামী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নতুন করে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে?
সেলফি, ছাত্র আর ছদ্মবেশ: বাস্তবতা না প্রপাগান্ডা?
সাম্প্রতিক ইতিহাসে কোনও গণআন্দোলনকালে ছাত্ররা কখনোই এমনভাবে কোনো ঘৃণিত রাজনৈতিক চরিত্রকে ‘জামাই আদরে’ নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়নি। বরং ছাত্রদের রোষই ছিলো অতীতে সবচেয়ে ভয়ংকর। সে ইতিহাসের সঙ্গে এ ‘সেলফি-সিনেমা’ মেলে না।
তাই প্রশ্ন জাগে, এটি কি এক নতুন ষড়যন্ত্রের ভূমিকা? একজন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতানির্ভর রাজনীতিককে 'মানবিক নাটক' বানিয়ে জনসচেতনতার পরীক্ষা নেয়া?
ওবায়দুল কাদেরের রাজনৈতিক ইতিহাস: শয়তানের লাঠি?
ওবায়দুল কাদেরের রাজনৈতিক জীবন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তিনি তিনবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন, যা তার প্রভাব এবং শেখ হাসিনার প্রতি তার আনুগত্যের প্রমাণ। আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন, যার মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় অন্যতম। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বিতর্কের অভাব ছিলো না। জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় তার বক্তব্য, যেখানে তিনি ছাত্রলীগকে আন্দোলন দমনের হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন, তা জনমনে তাকে আরও ঘৃণিত করে তুলেছিলো। তিনি এখন দাবি করছেন, সে বক্তব্য তার নয়, বরং হারপিক মজুমদারের। কিন্তু এ অস্বীকৃতি জনমানসে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কোটি কোটি মানুষ তার মুখ থেকে সরাসরি এ বক্তব্য শুনেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এর ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন <<>> রাজনীতিবিদদের ‘জনগণ’ কারা? এক নির্মম সত্যের মুখোমুখি হওয়া জরুরি
আওয়ামী লীগের শাসনামলে ওবায়দুল কাদেরের ভূমিকা ছিলো শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নের একজন প্রধান সেনাপতি হিসেবে। তাকে ‘শয়তানের লাঠি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে, যা তার ক্ষমতা ও প্রভাবের গভীরতা বোঝায়। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কাঠামোতে যারা বেশি প্রভাবশালী ছিলেন, তারা বেশি বিতর্কিতও ছিলেন। কাদেরের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শাসনামলে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিরোধীদের দমনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এমন একজন ব্যক্তির প্রতি ছাত্র-জনতার ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। তাই তার বয়ান, যে ছাত্ররা তাকে জনতার হাতে না দিয়ে নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছে, তা বিশ্বাস করা কঠিন।
হারপিক মজুমদারকে দায় দিয়ে নিজেকে ধোয়ার চেষ্টা?
সাক্ষাৎকারে কাদের দাবি করেন, ‘ছাত্রলীগ আন্দোলন দমাতে যথেষ্ট’ —এ বিতর্কিত বক্তব্য তার নয়, হারপিক মজুমদারের। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওতে কাদেরকেই এ বক্তব্য দিতে শোনা গেছে। এমনকি এ বক্তব্যের পরপরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, নিপীড়ন এবং পুলিশি নির্যাতনের খবর আসে।
এ বক্তব্যকে এখন অস্বীকার করা মানে জনগণের বুদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ করা। প্রশ্ন হলো—এ অস্বীকারে কি কাদের রেহাই পাবেন? নাকি এটি নতুন করে তার প্রতি জনরোষ আরও বাড়াবে?
ষড়যন্ত্রের ছায়া: কেন এখন মুখ খুললেন কাদের?
ওবায়দুল কাদেরের এ সাক্ষাৎকারের সময় এবং প্রেক্ষাপটও প্রশ্নের জন্ম দেয়। নয় মাস নিশ্চুপ থাকার পর হঠাৎ ভারতীয় গণমাধ্যমে তার উপস্থিতি কেনো? তিনি কি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন কোনো খেলা খেলতে চাইছেন? ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। হাসিনা নিজেই পলাতক ভারতে। কাদেরের এ সাক্ষাৎকার কি কোনো রাজনৈতিক পুনরুত্থানের প্রচেষ্টা? নাকি এটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনরোষের মাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল?
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ ধরনের বয়ান জনমনে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলেও এর কিছু সমর্থক এখনও সক্রিয়। কাদেরের মতো ব্যক্তিরা যদি মিথ্যা বা অর্ধসত্য বয়ান দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন, তবে তা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে। তিনি যে গল্প বলেছেন, তা কেবল অবিশ্বাস্যই নয়, বরং এটি জনমানসে তাদের প্রতি ক্ষোভকে আরও উসকে দিতে পারে।
‘বেঁচে থাকাটাই প্রমাণ, আমি নির্দোষ’—এ ধারণা কি চলতে পারে?
এ বয়ান এমন এক সময়ে এলো যখন আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, খুন, কারচুপি ইত্যাদি বিষয়ে অভিযোগ ও তদন্ত বাড়ছে। খুনি হাসিনাসহ জুলাই হত্যাকান্ডে জড়িতদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে। এমন সময় সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা একজন গুরুত্বপূর্ণ সাবেক মন্ত্রীর ‘নাটকীয় উদ্ধার’ কাহিনী নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে—এ কি তবে সরকারের ছায়া থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসার চেষ্টার সূচনা? না কি ‘ভবিষ্যৎ বৈধতার’ জন্য একটি বিকল্প রাজনৈতিক গল্প প্রস্তুত করা হচ্ছে?
কাদেরের পালানোর কাহিনী ভারতীয় মিডিয়ায়—কেন নয় দেশীয় মাধ্যমে?
সর্বাধিক সন্দেহ জাগে তখনই যখন দেখা যায়, দেশের একটি মিডিয়াও এ সাক্ষাৎকার নিতে পারলো না। তিনি মুখ খুললেন ভারতের একটি বাংলা চ্যানেলে, যেখানে প্রশ্নগুলো ছিলো নাটকীয় কিন্তু বিশ্লেষণহীন। তাকে প্রশ্ন করা হয়নি কেনো তিনি নয় মাস নিখোঁজ ছিলেন, কীভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পৌঁছালেন, ভারতের কোথায় আছেন, কেন ভারত তাকে আশ্রয় দিলো—এসব প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া হলো কৌশলে।
এ সাক্ষাৎকারটিকে কিছু বিশ্লেষক দেখছেন একটি পলিটিক্যাল স্ক্রিপ্টেড রিহ্যাবিলিটেশন প্রচেষ্টা হিসেবে। হয়ত ভারতের সহযোগিতায় একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরির ইঙ্গিত এখানে লুকানো।
কাদেরের মিথ্যাচার: রাজনৈতিক পুনর্বাসনের স্ক্রিপ্ট?
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এটি একটি ‘রিহ্যাবিলিটেশন স্ক্রিপ্ট’ —অর্থাৎ, ওবায়দুল কাদেরকে ধীরে ধীরে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা। মনে রাখা জরুরি, ২০০৭ সালে ১/১১ পরবর্তী রাজনৈতিক পুনর্বাসনের একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো, যেখানে অনেক বিতর্কিত নেতাকেই ‘নিরপেক্ষ’ চেহারায় হাজির করা হয়েছিলো।
ঠিক তেমনই, আজ যখন বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণ চলমান, স্বৈরতন্ত্র পতনের মুখে, তখন এ পুরনো চরিত্রদের নতুন নাটকীয় কৌশলে উপস্থাপন করা হচ্ছে—যেন তারা গণআন্দোলনের কাছে পরাজিত হয়ে একধরনের ‘মানবিক মুখ’ হিসেবে ফিরে আসতে পারেন।
এ কৌশল অবশ্য জনগণের মাঝে কার্যকর হয়নি। বরং প্রতিক্রিয়ায় দেখা যাচ্ছে, জনগণ পুরো ঘটনাটিকেই দেখে আরও একটি ষড়যন্ত্রমূলক গল্প হিসেবে।
সত্যের সন্ধানে জনগণ
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে সত্যতা কম, নাটকীয়তা বেশি। তার বয়ান সত্যের মুখোশে মিথ্যার একটি নাটক বলে মনে হচ্ছে। তার বর্ণনার অসঙ্গতি, ঐতিহাসিক তথ্যের সঙ্গে অমিল এবং তার রাজনৈতিক ইতিহাস—সব মিলিয়ে এটি স্পষ্ট যে তিনি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। ৫ আগস্টের অনেক ঘটনার সত্যতা এখনও অজানা রয়ে গেছে। তবে জনগণের প্রত্যাশা, সত্য বেরিয়ে আসবে এবং দায়ী ব্যক্তিরা বিচারের মুখোমুখি হবেন। বাংলাদেশের জনগণ এখন আর মিথ্যার জালে ধরা পড়বে না। তারা সত্যের সন্ধানে অটল। ওবায়দুল কাদেরের মতো ব্যক্তিদের এ ধরনের বয়ান কেবল তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে, বরং জনগণের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করে।
লেখক ও সংবাদকর্মী




























