জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডে হাসিনা জড়িত: অলি আহমদ

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার জড়িত থাকার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ড. অলি আহমদ। তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, এবার আবার বলছি—জিয়াউর রহমানের হত্যার সঙ্গে শেখ হাসিনা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
বুধবার (২১ মে) বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন এলডিপি সভাপতি।
শেখ হাসিনার ভারত-ঘনিষ্ঠতা নিয়েও অভিযোগ
অলি আহমদ বলেন, শেখ হাসিনা ভারতকে সব দিয়ে দিয়েছে। ভারত যে সরকার চায়, সেটাই তারা বাংলাদেশে বসাতে চায়। প্রথমে তাদের পছন্দ ছিলো শেখ মুজিব, পরে তারা চেয়েছিলো জিয়াউর রহমানকে সরিয়ে দিতে। সে কাজটা হাসিনার সম্পৃক্ততায় করা হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, জিয়া হত্যার আগে শেখ হাসিনা সাজেদা চৌধুরীকে নিয়ে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনকার বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) তাদের ধরে নিয়ে আসে। এরপর মাত্র ১৭-১৮ দিনের মধ্যে জিয়াউর রহমান নিহত হন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়া
ড. অলি আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগকে যদি শুরুতেই নিষিদ্ধ করা হতো, তাহলে দেশে এতো বিশৃঙ্খলা হতো না। এখন এ দল আর কখনও সংগঠিতভাবে দাঁড়াতে পারবে না।
ড. ইউনূস ও মানবিক করিডর নিয়ে মত
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি এনসিপি’র (নাগরিক প্ল্যাটফর্ম) নেতা হওয়ার পরিবর্তে বাংলাদেশের নেতা হোন। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে যেনো কোনও বিশেষ গোষ্ঠী সুবিধা না নেয়—সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। আমদানি-রফতানির পুরো প্রক্রিয়া আধুনিক ও স্বচ্ছ করতে হবে।
মানবিক করিডর বিষয়ে অলি আহমদ বলেন, এটা কোনও একক সিদ্ধান্তে হওয়া উচিত নয়। সবাইকে সম্পৃক্ত করে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নাহলে তা বুমেরাং হতে পারে।
মেয়র নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা নিয়ে সতর্কতা
তিনি বলেন, কে মেয়র হবে না হবে সেটা নিয়ে সাধারণ মানুষের পথ আটকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে দলীয় অহঙ্কার পরিহার করে সংলাপ ও ঐকমত্যের পথেই হাঁটতে হবে।
সবার দেশ/কেএম