মাসকাটে এশিয়ান বিচ হ্যান্ডবলে ২-০ ব্যবধানে পরাজয়
খেলার মাঠেও পাকিস্তানের কাছে হারলো ভারত!

ভারতের সঙ্গে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই ওমানের মাসকাটে অনুষ্ঠিত এশিয়ান বিচ হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে বাধ্য হলো ভারত —আর সে ম্যাচেই ২-০ ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে ভারতীয় দল।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ম্যাচ খেলতে বাধ্য ভারত
ভারতীয় খেলোয়াড়েরা ব্ল্যাক আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমে প্রতিবাদ জানাতে চাইলেও আয়োজক ও এশিয়ান হ্যান্ডবল ফেডারেশন (AHF) তা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে। হুঁশিয়ারি দেয়া হয়—এই অবস্থায় মাঠে নামলে পুরো ভারতীয় দলকে টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কার করা হবে।
ভারতের হ্যান্ডবল ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক আনন্দেশ্বর পান্ডে বলেন, ম্যাচ বয়কট করলে ১০ হাজার ডলার জরিমানা এবং দুই বছরের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা হতো। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের খেলতেই হতো।
হারের সঙ্গে যোগ হলো মর্যাদার প্রশ্ন
খেলোয়াড়দের ভেতরে শুরুতে ম্যাচ বয়কটের চিন্তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ঝুঁকি এড়িয়ে মাঠে নামে ভারতীয় দল। কিন্তু পাকিস্তানের সামনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি ভারত, মাসকাটের সুলতান কাবুস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তারা পরপর দুই সেটে হারে।
এ পরাজয় শুধুই খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। ভারতের ক্রীড়ামোদী মহলে জাতীয় মর্যাদা রক্ষা না করতে পারার অভিযোগ উঠে এসেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ভারত যদি রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে বয়কট করতে চায়, তবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে সে অবস্থান পালন করতে ব্যর্থ হলো কেন?
টুর্নামেন্ট থেকে সরেও দাঁড়াতে পারতো ভারত?
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিল, কিন্তু ৫ মে মাসকাটে দল পৌঁছানোর পর ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। পান্ডে বলেন, সরকার বা IOA যদি আগে থেকেই কোনো নিষেধাজ্ঞা দিতো, তাহলে হয়তো দলটিই পাঠানো হতো না।
ভবিষ্যতে ম্যাচ বয়কট?
ভারতীয় হ্যান্ডবল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে যদি আবার খেলা পড়ে (যেমন সেমিফাইনাল বা ফাইনালে), তাহলে সরকার বা IOA-এর সুস্পষ্ট নির্দেশ না পেলে এবার ম্যাচ বয়কটই করা হবে।
প্রসঙ্গত, চলমান এশিয়ান বিচ হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টটি ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৫ মে।
সবার দেশ/কেএম