Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:০৯, ১৭ মে ২০২৫

আপডেট: ২২:১০, ১৭ মে ২০২৫

ঘর থেকে বের হননি ৩ মাস

বোরকা পরে ভাড়া বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন মমতাজ

বোরকা পরে ভাড়া বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন মমতাজ
ফাইল ছবি

রাজনৈতিক পালাবদলের প্রায় ১০ মাস পর বোরকা পরে আত্মগোপনে থাকা মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত সোমবার (১২ মে) রাজধানীর ধানমন্ডির একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

গ্রেফতারের পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে তার দীর্ঘ আত্মগোপন ও পালিয়ে থাকার কৌশল। রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মুখে এখন একটাই প্রশ্ন—এই দীর্ঘ সময় তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন?

মমতাজের আপন ভাই এবারত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে টানা তিন মাস তিনি সিংগাইরের চরদুর্গাপুরে নিজ বাড়িতে ছিলেন। এ সময় একবারের জন্যও তিনি বাইরে বের হননি। এমনকি পাশের বাড়ির লোকজনও জানতেন না যে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন।

তিনি বলেন, শুধু আমার স্ত্রী ও সন্তান জানতেন। শিল্পী আপা কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতেন না। কারও প্রয়োজন হলে আমার মাধ্যমেই যোগাযোগ হতো। বাড়ির চারদিকে ছিলো সিসিটিভি, কেউ আসলে জানিয়ে দেয়া হতো বাড়িতে কেউ নেই।

পরবর্তীতে আত্মগোপনের কৌশল বদলে মমতাজ ঢাকায় আসেন। ভাইয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নিপার সহায়তায় ধানমন্ডিতে একটি বাসা ভাড়া নেয়া হয়। গ্রামের বাড়ি থেকে এক মধ্যরাতে বোরকা পরে কালো গ্লাসের মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় আসেন মমতাজ। পুরো যাত্রাপথে তাকে ঘিরে রাখেন নিপা।

নিপার স্বামী প্রবাসে থাকায় তার পুরো দেখভাল করতেন নিপা নিজেই, আর আর্থিক সহায়তা করতেন মমতাজের ব্যক্তিগত সহকারী জুয়েল।

মমতাজের তৃতীয় স্বামী ডা. এসএম মঈন হাসান দাবি করেছেন, আত্মগোপনের একপর্যায়ে মমতাজ কিছুদিন মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. রমজান আলীর মেয়ে রুনুর মোহাম্মদপুরের বাসাতেও ছিলেন। তবে এ তথ্যকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মেয়রের ঘনিষ্ঠ সানোয়ার হোসেন।

ডা. মঈন আরও বলেন, মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় মমতাজের নামে একটি পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে, যা বর্তমানে পিএস জুয়েল দখলে রেখেছে। জুয়েলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সে ফোন ধরছে না।

এদিকে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম জানান, আমি মাত্র দুই মাস হলো এ থানায় এসেছি। এ বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই।

সবার দেশ/কেএম