Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:০৮, ৭ মে ২০২৫

বিপিসিতে দুদকের অভিযান

৬৯০ টাকার এলপি গ্যাসে বিপিসি’র হরিলুট

৬৯০ টাকার গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকায়! সরকারি গ্যাস দিয়ে বাণিজ্য—কে নেবে এর দায়?

৬৯০ টাকার এলপি গ্যাসে বিপিসি’র হরিলুট
ফাইল ছবি

মাত্র ৬৯০ টাকায় নির্ধারিত সরকারি এলপি গ্যাস বাজারে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি দামে—১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকায়! এ গ্যাস লুটপাটের ভয়াবহ অভিযোগে মঙ্গলবার (৬ মে) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কার্যালয়ে হানা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক জানায়, বিপিসি প্রতি বছর গড়ে ১৪ লাখ সিলিন্ডার গ্যাস উৎপাদন করলেও সাধারণ মানুষের ঘরে তা পৌঁছায় না। অভিযোগ উঠেছে, গ্যাস ডিলার থেকে শুরু করে সরকারি কর্মকর্তা পর্যন্ত জড়িত এ গ্যাস দুর্নীতিতে।

অভিযানে অংশ নেয়া দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাজু আহমেদ, তানজির আহমেদ ও আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম বিপিসির কার্যালয়ে দিনভর তল্লাশি চালায়। প্রাথমিক তদন্তেই উঠে আসে ভয়াবহ তথ্য—জনগণের জন্য নির্ধারিত সস্তা গ্যাস গোপনে বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দিয়ে বিপিসির ভেতরেই গড়ে তোলা হয়েছে একটি দুর্নীতির চক্র।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২ শতাংশ গ্রাহকের জন্য সরকারি মূল্যে (৬৯০ টাকা) সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয় না। বরং এ সস্তা গ্যাস বেসরকারি কোম্পানির সিলিন্ডারে ভরে বিক্রি করা হয় দ্বিগুণ দামে। এতে প্রতি বছর ১ লাখ কোটি টাকার মতো দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট দেখিয়ে গৃহস্থালি এবং ছোট শিল্পের জন্য এলপিজির ব্যবহার বাড়ানো হলেও, এ সুযোগকে পুঁজি করে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে বিপিসির অভ্যন্তরে।

বিপিসি চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান জানিয়েছেন, দুর্নীতির অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দুদক।

সবার দেশ/কেএম