Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ১৩ মে ২০২৫

আপডেট: ১৪:৪৫, ১৩ মে ২০২৫

নির্বাচনি মিছিলে গুলিবর্ষণে নিহত আরও তিনজন

মেক্সিকোতে মেয়র প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা

মেক্সিকোতে মেয়র প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনি প্রচারণার প্রাণবন্ত র‍্যালি মুহূর্তেই রূপ নেয় রক্তাক্ত হত্যাযজ্ঞে—মেক্সিকোর ভেরাক্রুজ রাজ্যের টেক্সিস্টেপেক শহরে মেয়র পদপ্রার্থী ইয়েসেনিয়া লারা গুতিয়েরেসকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন।

রবিবার (১১ মে) রাতে মোরেনা দলের এ প্রার্থী একটি নির্বাচনি মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সমর্থকদের উল্লাস, স্লোগান আর হাসিমুখের মাঝেই হঠাৎ শুরু হয় গুলির শব্দ—ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ইয়েসেনিয়া। পুরো ঘটনাটি প্রচারের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে দেখা যাচ্ছিলো এবং সে ভিডিও এখনও তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে রয়ে গেছে।

মৃত্যুর মিছিলে রাজনীতি:

সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পেছনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আমরা ফেডারেল সরকার, রাজ্য প্রশাসন ও অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্ত চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ভেরাক্রুজ ও দুরাঙ্গোসহ বিভিন্ন সহিংসতাপ্রবণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারে কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করছে।

আঘাত হানা আতঙ্কের ইতিহাস:

ভেরাক্রুজ রাজ্যের গভর্নর রোসিও নাহলে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেয়া বার্তায় এ হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ উল্লেখ করে বলেন, কোনও পদ বা ক্ষমতা মানুষের জীবনের চেয়ে বড় নয়। বিচার হবেই।

মেক্সিকোতে নির্বাচনি সময় রাজনীতিকদের উপর প্রাণঘাতী হামলা কোনো নতুন ঘটনা নয়। মানবাধিকার সংগঠন ডেটা সিভিকা-এর পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংসতায় ৬৬১টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার অধিকাংশই হয়েছে স্থানীয় বা পৌরসভা পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে।

মাত্র এক মাস আগেও গেরেরো রাজ্যে আরেকজন মেয়র প্রার্থী প্রচারের সময় গুলিতে নিহত হন। মিচোয়াকান ও চিলপানসিঙ্গোতেও একই রকম হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এ প্রবণতা ক্রমশ নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে হুমকির মুখে ফেলছে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে মেক্সিকো এখন রীতিমতো আতঙ্কে দিন পার করছে। ক্ষমতা যুদ্ধে গুলি, মৃত্যু আর বিচারহীনতা যেন রাজনৈতিক সংস্কৃতির অনিবার্য অংশে পরিণত হয়েছে। ইয়েসেনিয়া লারা গুতিয়েরেস সে সহিংস সংস্কৃতির নতুনতম বলি। তার মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠছে—এ রক্তাক্ত গণতন্ত্রের পথে কী আবারও আরও প্রাণ যাবে?

সবার দেশ/কেএম