মাজার-ই-শরিফে এর মাত্রা ৬.৩
শক্তিশালী ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে, নিহত ৭, আহত ১৫০
উত্তর আফগানিস্তানে আবারও ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোরে মাজার-ই-শরিফের কাছাকাছি অঞ্চলে ৬.৩ মাত্রার এ ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিলো বালখ প্রদেশের খোলম শহরের কাছে, ভূমির প্রায় ২৮ কিলোমিটার গভীরে। ওই শহরে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষের বসবাস, আর কাছের বৃহত্তর নগরী মাজার-ই-শরিফে বসবাস করে প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ।
ভূমিকম্পের সময় অনেকে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাতের অন্ধকারে বহু মানুষ ঘর ছেড়ে খোলা স্থানে আশ্রয় নেয়।
এখনও পর্যন্ত হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
ইউএসজিএসের সতর্কতা সিস্টেমে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, যার অর্থ—এ ভূমিকম্পে বড় ধরনের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে এটি আফগানিস্তানে দ্বিতীয় বড় ভূমিকম্প। এর আগে গত আগস্টে পূর্বাঞ্চলে ৬.০ মাত্রার এক ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগানিস্তানের অধিকাংশ গ্রামীণ এলাকা এখনও কাঁচামাটির তৈরি বাড়িঘরে ভরসা করে থাকে। ফলে প্রতিবার ভূমিকম্পের ধাক্কায় এসব ঘর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ে।
হিন্দুকুশ পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে ইউরেশিয়ান ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল হওয়ায় নিয়মিত ভূমিকম্প হয়।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর আফগানিস্তানে গড়ে প্রায় ৫৬০ মানুষ ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ কোটি ডলার। ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ৩৫৫টি ভূমিকম্প ঘটেছে, যেগুলোর মাত্রা ছিল ৫.০ বা তার বেশি।
সবার দেশ/কেএম




























