বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা
খরচ সর্বনিম্ন ৫.১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৭.৫০ লাখ টাকা
আগামী বছরের হজ পালনের জন্য সরকারি প্যাকেজের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়ও তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার এ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এ সময় হাব সভাপতি সৈয়দ গোলাম সারওয়ারসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বনিম্ন সাশ্রয়ী হজ প্যাকেজ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা, সাধারণ প্যাকেজ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব প্যাকেজের মধ্যে খাবার ও কোরবানির খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন—যেখানে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয় ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা।
তিন ধরনের হজ প্যাকেজের সুবিধা
বিশেষ প্যাকেজ (৭.৫০ লাখ টাকা):
-
মক্কায় হারাম শরীফ থেকে হোটেলের দূরত্ব সর্বোচ্চ ৭০০ মিটার।
-
মদিনায় মারকাজিয়া (সেন্ট্রাল এরিয়া) এলাকায় আবাসন।
-
মিনার জোন-৫ এ তাঁবু ও ডি-ক্যাটাগরি সার্ভিস, মোয়াল্লেমের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ।
-
মক্কা ও মদিনার হোটেলে প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৫ জন থাকার ব্যবস্থা।
সাধারণ প্যাকেজ (৫.৫০ লাখ টাকা):
-
মক্কায় হারাম শরীফ থেকে হোটেলের দূরত্ব সর্বোচ্চ ৩ কিলোমিটার।
-
মদিনায় মারকাজিয়ার বাইরে আবাসন।
-
মিনার জোন-৫ এ তাঁবু, ডি-ক্যাটাগরি সার্ভিস, মোয়াল্লেমের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ।
-
প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৬ জন আবাসনের ব্যবস্থা।
সাশ্রয়ী প্যাকেজ (৫.১০ লাখ টাকা):
-
মক্কায় হারাম শরীফ থেকে হোটেলের দূরত্ব ৬-৭ কিলোমিটারের মধ্যে।
-
মদিনায় মারকাজিয়ার বাইরে আবাসন।
-
মিনার জোন-৫ এ তাঁবু, ডি-ক্যাটাগরি সার্ভিস ও খাবার সরবরাহ।
-
প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৬ জন আবাসনের ব্যবস্থা।
বিমান ভাড়া ও অর্থপ্রদানের সময়সীমা
হাব মহাসচিব জানান, গত বছর এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকার বিমান ভাড়া এবার কমিয়ে এক লাখ ৫৪ হাজার ৮৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিমান ভাড়া আরও কমলে প্যাকেজ খরচও সমন্বয় করা হবে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের কমপক্ষে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে ১২ অক্টোবরের মধ্যে। প্যাকেজের বাকি অর্থ অবশ্যই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা অফিসে জমা দিতে হবে।
ফরিদ আহমেদ মজুমদার সতর্ক করে বলেন, কোনোভাবেই মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে টাকা লেনদেন করা যাবে না; সরাসরি এজেন্সির কাছে জমা দিয়ে রিসিট গ্রহণ করতে হবে।
সবার দেশ/এফএস




























