ঢাকা সেনানিবাসে সাব-জেল
১৫ সেনা কর্মকর্তার নিরাপত্তায় ৩৫ কারারক্ষী
গত ১৭ বছরে সংঘটিত গুম, অপহরণ, নির্যাতন ও জুলাই মাসে ঘটানো মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাসে স্থাপিত সাব-জেলে রাখা হয়েছে। সাব-জেলটি কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত হবে এবং সার্বিক তদারকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবে।
সচিবালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখিয়ে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের সাব-জেল বা অন্যান্য স্থানে রাখার দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন জানান, ১৫ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন এবং ২০ নভেম্বর জামিন আবেদন শুনানি হবে। এছাড়া প্রিভিলেজ কমিউনিকেশন ও সাব-জেলে রাখার বিষয়ও আবেদন করা হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, আসামিরা কারা কর্তৃপক্ষের কাস্টডিতে থাকবেন। কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কোন জেলে বা সাব-জেলে রাখা হবে, ঢাকায় রাখা হবে নাকি চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হবে।
নিরাপত্তা ও কারারক্ষী:
সেনানিবাসে স্থাপিত সাব-জেলে বর্তমানে ৩৫ জন কারারক্ষী দায়িত্বে রয়েছেন। সহকারী কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত-উল ফরহাদ ইসলাম জানান, বন্দির সংখ্যা ও নিরাপত্তার প্রয়োজন অনুযায়ী কারারক্ষীর সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে।
আসামি সেনা কর্মকর্তাদের তালিকা:
র্যাব ও সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ ১৫ কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর মো. রাফাত বিন আলম, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে তাদের সকাল ১০টায় কারা কর্তৃপক্ষের প্রিজনভ্যানে নেয়া হয়।
সবার দেশ/কেএম




























