আচরণবিধি নিশ্চিতে কড়াকড়ি প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের
তফসিলের পর থেকেই মাঠে নামছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে একযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনকালীন আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতোমধ্যেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে জানানো হয়, তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটগ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত—সমগ্র নির্বাচনি সময়ে প্রতিটি উপজেলা ও থানায় অন্তত দুইজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে হবে। তারা মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এর আওতায় নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনা পর্যবেক্ষণ, দমন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ভোটকে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও আইনসম্মত রাখতে মাঠপর্যায়ে দ্রুত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ জরুরি। তাই তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকেই সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রচারণা, পোস্টারিং, মিছিল-মিটিংসহ বিভিন্ন নির্বাচনি কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলো কি না—তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতাও থাকবে তাদের হাতে।
ইসি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে, যাতে নির্ধারিত সময়েই মাঠে নামতে পারেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। নির্বাচনি মাঠে প্রশাসনের এই কঠোর উপস্থিতি প্রচারণা শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোকে চাপের মধ্যে রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশে প্রশাসনিক প্রস্তুতি জোরদার করার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ—যা নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।




























