নামবে রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী
তফসিল ঘোষণার পর অনুমোদনহীন আন্দোলনে কঠোর অবস্থান
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত যেকোনো অনুমোদনবিহীন জনসমাবেশ, রাজপথের আন্দোলন বা জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মসূচি কঠোরহস্তে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জারি করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে বেআইনি সভা-সমাবেশে অংশ নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর হয়, সেটিই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে সশস্ত্র বাহিনীসহ সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এবারের নির্বাচনে প্রায় নয় লাখ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে শুধু পুলিশ বাহিনী থেকেই রেকর্ড সংখ্যক দেড় লাখ সদস্যকে বিশেষ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গত দেড় বছরে দুই হাজারের বেশি আন্দোলন-বিক্ষোভ হয়েছে। নায্য দাবি থাকলে আমরা সবসময় আলোচনায় বসেছি, সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন আমরা নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে আছি। তাই সবাইকে অনুরোধ করবো, যা দাবি-দাওয়া আছে তা নির্বাচিত সরকারের কাছে নিয়ে যান। এ সংকটময় সময়ে কেউ যেন জনজীবন বিপন্ন করার চেষ্টা না করেন।
তিনি আরও বলেন, যারা এখনও রাজপথে নামার পরিকল্পনা করছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ধৈর্য ধরুন। নির্বাচনের পর যে সরকারই আসুক, তারা আপনাদের দাবি শুনবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তফসিল ঘোষণার আগেই এমন কঠোর বার্তা দেয়া হয়েছে যাতে কোনও পক্ষই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে না পারে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে নিরাপত্তা জাল আরও শক্ত হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সবার দেশ/কেএম




























