মেট্রোর র্যাপিড কার্ড রিচার্জ এখন অনলাইনে
সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা রিচার্জের সুবিধা। আগামী মাসে চালু, ১৬টি স্টেশনে বসছে এভিএম মেশিন।
ঢাকার মেট্রোরেল যাত্রীদের জন্য সুখবর—এবার থেকে ঘরে বসেই অনলাইনে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস রিচার্জ করা যাবে। আর স্টেশনে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রিচার্জ করার ঝামেলা পোহাতে হবে না।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) জানায়, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই সুবিধা চালু হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে অক্টোবরের মাঝামাঝি অনলাইনে রিচার্জ চালু হতে পারে। এরই মধ্যে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে চারটি করে অ্যাড ভ্যালু মেশিন (এভিএম) বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
অনলাইনে রিচার্জ করতে যাত্রীর কার্ড আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন শেষে ওয়েবসাইট rapidpass.com.bd-তে গিয়ে রিচার্জ অপশনে টাকা দেয়া যাবে। লেনদেন সফল হলে মেসেজ পাওয়া যাবে। এরপর যেকোনও মেট্রো স্টেশনের এভিএম মেশিনে কার্ড ট্যাপ করলে টাকাটি যুক্ত হবে।
রিচার্জে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভরা যাবে। ব্যাংক কার্ড, নগদ, বিকাশ, রকেটসহ সব মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করা যাবে।
শুরুতে ১৬টি স্টেশনে এভিএম বসানো হলেও ভবিষ্যতে এনএফসি–সাপোর্টেড মোবাইল ফোন থেকে সরাসরি রিচার্জ ও টিকিট কেনার সুযোগ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তখন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ঘরে বসে সব কাজ সেরে ফেলা যাবে।
বর্তমানে প্রায় ১৬ লাখ গ্রাহক র্যাপিড ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে আগে প্রায় ৬০ হাজার কার্ড রেজিস্ট্রেশন ছিলো, গত ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও ৫ হাজার গ্রাহক নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন জানান, আমরা আশা করছি, এক মাসের মধ্যেই এ সুবিধা চালু হয়ে যাবে, তার আগেও হতে পারে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শুরু থেকেই এ সুবিধা থাকলে যাত্রীদের জন্য মেট্রো ব্যবহার আরও সহজ হতো। তবে অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে যেনো অপ্রয়োজনীয় জটিলতা বা প্রযুক্তিগত সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সবার দেশ/কেএম




























