এলাকাবাসীর মানববন্ধন
ধামইরহাটে ইউএনও’র বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ
নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরসভার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গর্ভবতী নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্থানীয়রা মানববন্ধন করেছে। অভিযুক্তদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধামইরহাট পৌরসভার একটি ময়লার গাড়ি উপজেলার মঙ্গলকোঠা আবাসিক এলাকায় সরকারি জায়গায় ময়লা ফেলতে গেলে এলাকাবাসীর সঙ্গে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি জানতে পেলে বেলা ১১টার দিকে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান ও পৌর প্রকৌশলী আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইউএনও ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন কয়েকজনকে মারধর করে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে ইউএনও নিজেই গর্ভবতী নারী মিতু আক্তারের পেটে লাথি মারে এবং সামিরন নামের আরেক নারীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী মোসা. সামিরন। তিনি অভিযোগ করে বলেন,আমরা শান্তভাবে বলেছি এখানে ময়লা ফেলা যাবে না, আমাদের শিশু আর বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কিন্তু ইউএনও আমাদের কথা না শুনে উল্টো আমাকে এবং গর্ভবতী মিতুকে মারধর করে। আমি এর বিচার চাই।
মানববন্ধন শেষে স্থানীয়রা ইউএনও’র অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে উপজেলা চত্বরে অবস্থান নেয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, পৌরসভার লোকজন নিয়মিতভাবে নির্ধারিত জায়গায় ময়লা ফেলতে গেলে কিছু লোক বাধা দেয় এবং তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। আমি মারধরের বিষয়ে কিছু জানি না।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। স্থানীয়দের সঙ্গে কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সবার দেশ/কেএম




























