রাকসুতে দুঃখ ঘোচানের চেষ্টা ছাত্রদলের, জয়ের নেশায় শিবির
৩৫ বছর পর আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই শক্তি হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবির।
ছাত্রদল এবার নতুন উদ্যমে নির্বাচনী মাঠে নেমেছে। ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ নামের প্যানেলের মাধ্যমে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর নম্র ও হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছেন। জিএস প্রার্থী নাফিউল জীবন এবং এজিএস প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্যানেলে জাতীয় দলের খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও স্থান পেয়েছেন।
ছাত্রদলের কৌশলগত শক্তি হলো প্রথম বর্ষের ৪ হাজার ৩০৭ ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি, যা প্যানেলের জয়ের সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে। প্রার্থীরা দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধানকে মূল উদ্দেশ্য হিসেবে তুলে ধরছেন।
অপরপক্ষে, ইসলামী ছাত্রশিবির ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ নামের প্যানেল নিয়ে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়। ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ নেতৃত্বে, প্যানেলে সাবেক আন্দোলনকারীদের, নারী শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা প্রচারণায় খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও ছোট উপহার বিতরণের মাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন।
শিবিরের নিজের ভৌগোলিক ও সাংগঠনিক প্রভাব রাবি ক্যাম্পাসে শক্তিশালী। প্রায় ৪ থেকে ৪ হাজার ৫০০ ভোট তাদের নিজস্ব বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৬টি আবাসিক ছাত্রী হলে শিবিরের প্রভাব ইতিমধ্যেই দৃঢ়।
ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, প্রতিটি নির্বাচনের প্রেক্ষাপট আলাদা। তারা রাকসুতে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও সমস্যাগুলো সরাসরি শুনে সমাধান করতে চাইছে। শিবিরের লক্ষ্য একটি নিরাপদ, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা, যেখানে ভিন্নমত দমন নয় বরং অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি চর্চা হবে।
নির্বাচন ঘিরে দুই প্যানেলই বৈচিত্র্যময় প্রার্থী ও কৌশলগত প্রচারণার মাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করতে মরিয়া। ফলে রাকসু নির্বাচনের উত্তেজনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সবার দেশ/কেএম




























