রাকসু নির্বাচন ১৬ অক্টোবর, তারিখ পরিবর্তনে ক্ষুব্ধ শিবির
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট নির্বাচন পিছিয়ে আগামী ১৬ অক্টোবর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে শাখা ছাত্রশিবির।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় রাকসু কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জোহা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে শাখা ছাত্রশিবির ও বিভিন্ন হল ইউনিটের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল অভিযোগ করেন, কমিশন বারবার একটি নির্দিষ্ট দলকে সুবিধা দিতে নির্বাচন পেছাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী ১৬ অক্টোবরের তারিখও কতটা চূড়ান্ত, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। আমরা এ একচেটিয়া সিদ্ধান্ত মানি না।
শিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, এটি আসলে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র। ছাত্রদলকে সুযোগ করে দিতেই আগে মনোনয়ন ফরমের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিলো, এখন আবার ভোটের তারিখ পেছানো হলো। আমরা এ প্রহসন প্রত্যাখ্যান করছি।
অন্যদিকে রাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. এফ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলমান ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুপস্থিতির কারণে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই। এজন্য ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ১৬ অক্টোবর ভোটগ্রহণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ছাত্রদল ও বামজোট সমর্থিত প্যানেল, তবে শিবির সমর্থিত জোট একে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়েছে।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর পোষ্যকোটা ইস্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উপ-উপাচার্য লাঞ্ছিত হন। পরে শিক্ষক ও কর্মচারীরা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়ছেন, আর রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে শিবির, ছাত্রদল ও অন্যান্য প্যানেল।
সবার দেশ/কেএম




























