পুলিশ জানিয়েছে পরিকল্পনা আগে থেকে ছিলো
জুবায়েদ হত্যার দায় স্বীকার তার ছাত্রী বর্ষা ও মাহির
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসেনকে হত্যা করার দায় প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ওই ছাত্রী ও মাহির রহমান। পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা প্রায় এক মাস আগে করা হয়েছিলো।
বংশাল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দীর্ঘ ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক শেষ হওয়ায় টিউশনির শিক্ষক জুবায়েদ হোসেনকে পছন্দ করতেন ওই ছাত্রী। তবে সম্প্রতি জুবায়েদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলায়, ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ও মাহির একসঙ্গে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত রোববার বিকেল ৪:৪৫ মিনিটের দিকে জুবায়েদকে আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলার নিচে মাহির ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন, আর তার সঙ্গে ছিলো সহযোগী ফারদিন আহম্মেদ আয়লান। জুবায়েদের অবস্থানসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করেন ওই ছাত্রী।
জুবায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সংসদের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন। গত এক বছর ধরে তিনি ছাত্রীর বাসায় ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন। হত্যাকাণ্ডের স্থান থেকে তিন তলার সিঁড়িতে রক্ত পড়ে থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
হত্যার ঘটনায় রাতেই ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ, পরদিন প্রধান আসামি মাহির রহমান ও সহযোগী ফারদিন আহম্মেদ আয়লানকেও গ্রেফতার করা হয়।
সবার দেশ/কেএম




























