এ ধ্বংসাবশেষ গাজার নয়, তেল আবিবের
যুদ্ধের ধোঁয়ায় ধরা ধরা চিত্র যে সাধারণত গাজা উপত্যকার—তা যেন আজ উল্টে গেলো। ধ্বংসের মিছিল এবার রাজধানী তেল আবিবের বুকে। ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলের শহুরে আকাশে বাজল যুদ্ধের নতুন সাইরেন।
রোববার (২২ জুন) মধ্যরাতে ইরান থেকে ছোড়া হয় মোট ২৭টি ক্ষেপণাস্ত্র—প্রথম দফায় ২২টি, দ্বিতীয় দফায় আরও ৫টি। লক্ষ্যবস্তু শুধু সীমান্তবর্তী অঞ্চল নয়, বরং সরাসরি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে—দখলীকৃত সিরিয়ান ভূমি গোলান হাইটস থেকে শুরু করে আপার গ্যালিলি, উত্তরের হাইফা এবং প্রাণকেন্দ্র তেল আবিব পর্যন্ত বিস্তৃত।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাতে আল জাজিরা জানায়, এ হামলায় অন্তত ১০টি স্থানে বড় ধরনের ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে, অনেক জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্রের সরাসরি আঘাত অথবা শার্পনেলের বিস্ফোরণে বড় ক্ষতি হয়েছে।
বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেল আবিব ও হাইফা। ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষ, ছিন্নবিচ্ছিন্ন কাচের টুকরো আর বিধ্বস্ত গাড়ির সারি এখন যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার কোনো প্রান্ত নয়, বরং ইসরায়েলের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত শহরগুলোর বাস্তবতা।
জেরুজালেমেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যদিও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনো প্রকাশ পায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, এ হামলা ইরানের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা—প্রতিরক্ষার অন্তরালে লুকিয়ে থাকার সময় ফুরিয়েছে, এবার প্রতিশোধ আসছে তেল আবিবের বুকে।
এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের মানচিত্র পাল্টে দিতে পারে। কারণ, এ প্রথম এত সুপরিকল্পিত ও গভীরে প্রবেশকারী হামলা চালালো ইরান, যা সরাসরি ইসরায়েলের ভেতরকার ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে।
বিশ্ব শঙ্কিত, কারণ এ আঘাত যদি প্রতিরোধের বদলে প্রতিশোধে রূপ নেয়, তবে যুদ্ধ আর সীমান্তে আটকে থাকবে না—তেল আবিব থেকে তেহরান, হাইফা থেকে হরমুজ, আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো অঞ্চলে।
সবার দেশ/কেএম




























