পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ
পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে তীব্র সংঘাত
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে শুক্রবার রাতে চার ঘণ্টা ধরে তীব্র গোলাবিনিময় হয়েছে। উভয়পক্ষই একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছে, যা কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দুই মাস আগে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, রাত আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিটে সংঘাত শুরু হয়। উভয়পক্ষই হালকা ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। সংঘর্ষ চলাকালীন সীমান্তবর্তী আফগানিস্তান অংশে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়; স্থানীয়রা হেঁটে এবং যানবাহনে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে যায়।
কান্দাহারের তথ্য বিভাগের প্রধান আলি মোহাম্মদ হাকমাল দাবি করেছেন, পাকিস্তানি বাহিনী হালকা ও ভারী কামান দিয়ে হামলা চালিয়েছে, যা মর্টারের আঘাত ও বেসামরিক বাড়িঘরে ক্ষতি ডেকে এনেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি দাবি করেছেন, তালেবান উস্কানিমূলক গোলাবর্ষণ করেছে, যার জবাবে পাকিস্তান তার সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহারে বাধ্য হয়েছে। অন্যদিকে, তালেবান দাবি করেছে, পাকিস্তানই প্রথম আক্রমণ শুরু করেছে।
এ সংঘাত এমন সময়ে ঘটল যখন দুই মাস আগে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এটি উভয়পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘাত।
খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিরাপত্তা অভিযান: ৯ সন্ত্রাসী নিহত
অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়ার টাঙ্ক ও লাক্কি মারওয়াত জেলায় পৃথক গোয়েন্দা অভিযানে ৯ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। নিহতরা সবাই পাকিস্তানের তালেবান (টিটিপি) সদস্য। অভিযানে সাতজন ট্যাঙ্কে এবং দুজন লাক্কি মারওয়াতে নিহত হন। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, দেশ থেকে বিদেশি সহায়তাপ্রাপ্ত সন্ত্রাস নির্মূলের জন্য অভিযান চলবে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি নিরাপত্তা বাহিনীর সফল অভিযানের প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জাতি নিরাপত্তা বাহিনীর পাশে রয়েছে। সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি খাইবার পাখতুনখোয়ায় শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সবার দেশ/কেএম




























