Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ১৩ মে ২০২৫

যেটা হয়েছে তা মানবতাবিরোধী অপরাধ 

জুলাই-আগস্টে গণহত্যা হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই-আগস্টে গণহত্যা হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর
ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণ-আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এ ঘটনাগুলো গণহত্যার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

সোমবার ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুযায়ী এগুলো গণহত্যা নয়, বরং ম্যাসাকার বা ক্রাইমস এগেইনস্ট হিউম্যানিটি।

কী অভিযোগ?

আন্দোলনের সময়কার সহিংসতার ঘটনায় কাষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে ‘মাস্টারমাইন্ড, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কোন বক্তব্য ঘিরে শুরু সহিংসতা?

১৪ জুলাই শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে আক্রমণ করেন। প্রসিকিউটরের ভাষায়, এ মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সরকারি দলীয় সংগঠনগুলোকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন।

সহযোদ্ধা বাহিনী হিসেবে কারা ছিলো?

চিফ প্রসিকিউটরের ভাষায়, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ—তারা ছিলো অক্সিলারি ফোর্স, যারা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সঙ্গে মিলে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নেয়।

কী হচ্ছে এখন?

চূড়ান্ত অভিযোগপত্র যাচাই-বাছাই করে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চার্জশিট ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়া হবে। এরপর শুরু হবে বিচার কার্যক্রম।

দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার?

এ প্রশ্নে চিফ প্রসিকিউটরের মন্তব্য, আইনে নতুন সংশোধনী এসেছে। তদন্ত সংস্থা চাইলে দল হিসেবেও তদন্ত শুরু করতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয় শেখ হাসিনার সরকারে থাকা অবস্থায়। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগের পর আইনে সংশোধনী আনা হয়। এখন সে আইনেই তার বিচার শুরু হয়েছে।

সবার দেশ/কেএম